সানা উল্লাহ সানু: লক্ষ্মীপুরের কমলনগর ও রামগতির মেঘনা মোহনায় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে।ফলে উপকূলীয় জেলে পল্লীতে বেড়েছে কর্মব্যস্ততা। আর জালে প্রচুর ইলিশ পড়ার খবরে জেলেরাও নদী ও সাগরে ছুটছেন। একইসঙ্গে তাদের মুখে ফিরেছে আনন্দের হাসি। তাই লক্ষ্মীপুরের সবচেয়ে বড় মাছ ঘাট কমলনগরের মতিরহাট এখন জেলে,মাছ ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতাদের ভীড়ে মুখোরিত।শত শত সাধারণ মাছ ক্রেতা সকাল থেকে গভীর রাত পযন্ত বরফ আর ফরমালিন মুক্ত ইলিশ কিনতে এখন মতিরহাটের পানে ছুটছেন।কয়েক বছর জেলেদের জালে আশানুরূপ ইলিশের দেখা না মেলায় অনেকেই দাদনের টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। মেঘনায় জলদস্যুদের আক্রমণ ও মুক্তিপণের টাকা জোগাড় করতেও অনেকে ভিটেমাটি হারিয়েছে। এসব কারণে অনেককে এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় ঝুঁকতে হয়েছে। তবে এবার জেলেদের ভাগ্য খুলেছে। নদীতে জাল ফেললেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পড়ছে। এতে জেলে পল্লীগুলো সরব হয়ে উঠেছে। নতুন ট্রলার ও মহাজনদের নিকট থেকে দাদন নিয়ে তারা আবারো সাগরে ছুটছে। মতিরহাটের জেলে বাবুল বলেন, ‘ইলিশের চাপ এখন একটু বৃদ্ধি, আমরাও শান্তিতে মাছ পাচ্ছি।’জেলে নৌকার মাঝি সফিক বলেন, ‘নদীতে যদি এইভাবে মাছ পড়ে তাহলে আড়তদারদের টাকা সবাই পরিশোধ করতে পারবে।’তবে অর্থের অভাবে অনেক জেলে ট্রলার নিয়ে সাগরে যেতে পারেনি—এ কথা জানিয়ে স্থানীয় সফিক মাতব্বর বলেন, ‘আমাদের মৎসজীবী যারা ছিলেন তাদের অধিকাংশ নদীতে যেতে পারেনি।’চলতি ইলিশ মৌসুমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকেও যথেষ্ট নজরদারীর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশ প্রশাসন।
0Share