শাকের মোঃ রাসেল: প্রতিবছরের ন্যয় লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন মৌসমী ফল এসে সয়লাভ হয়েছে বাজারের আনাছে-কানাছে। ইতোমধ্যে আবাল-বিদ্ধ বনিতা সকল মানুষকে আকৃষ্টকর ফল লিচু এসে দখল করেছে লক্ষ্মীর শহর। শহরের বিভিন্ন স্থানে পাইকাররা এনে দিয়ে যায় এসব ফল। আর খুচরা বিক্রেতা তা বিক্রি করছে হরদমে। চাহিদাও বেশ ভালো, দামও বেশি। প্রতি শ’ লিচুর দাম প্রথমে ১৫০/২০০ টাকা থাকলেও বর্তমান বাজারে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত বিকিনি হচ্ছে। দামাদমি শেষে ৩২০/৩৩০ টাকা দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে এ সু-স্বাদু ফল। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ প্রতি শ’ লিচুতে ১০০ পিচ লিচু থাকার কথা থাকলেও তা থাকেন। একজন লিচু ক্রেতা আব্দুল্যাহ জানান, এতো ৩৩০ টাকা দিয়ে ১শ লিচু কিনেছি কিন্তু বাড়ীতে গিয়ে গননা দেখি ৬/৭ কম থাকে।
এব্যপারে লিচু বিক্রেতা মোঃ হেলাল জানান, আড়ত থেকে প্রতি ছড়াতে ৫০ টি লিচু বাধা অবস্থায় আনা হয়। আমরা সেভাবেই ক্রেতাদেরকে দিয়ে থাকি। কোন কম থাকার কথা নয়। তবে মাঝে মাঝে ঝরে পড়লে ২/১ টি লিচু কম থাকে। আমরা বিক্রি করার সময় বাড়তি ২/৩ টি লিচু দিয়ে দেয়।
লিচু ছাড়াও বাজারে উঠেছে রয়েছে শেষ পর্যায়ের তরমুজ, কাঁচা আম, পাকা আম, জাম, কাঁঠাল, আনারস, কটবেল, মন্ডল, আতা ফল, জামরুলসহ বিভিন্ন জাতের মৌসমী ফল।
আর মৌসমী ফলে ভালো ব্যবসা হওয়ায় পেশাগত ফল ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি মৌসমী ব্যবসায়ীও রয়েছে। যারা শুধু মৌসমে লিচু, আম-কাঠালের ব্যবসা করেন।
এসব ফল পাওয়া যাবে লক্ষ্মীপুরে শহরে উত্তর তেমুহনী, চকবাজারস্থ এলাকায়, বাজারের বড় পুল সংলগ্ন সামাদ স্কুল সংলগ্ন, দক্ষিণ তেমুহনী, ঝুমুর সিনেমা সংলগ্নসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে। আপেল, আঙ্গুর, কমলা কিংবা মালটা ফলের মধ্যে ফরমালিন নামক বিষক্ত কিছু থাকলেও মৌসমী এসব ফলে ফরমালিন নেই বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
স্থানীয় ফল ব্যবসায়ী হেলাল জানান, এখন নতুন নতুন ফলের মৌসম। লিচু ছাড়াও এখন বিভিন্ন ধরনের ফল বাজারে আসতেছে। বিশেষ করে ফরমালিন মুক্ত লিচু। এই ফলটি যেমন দামি তেমনি কদরও রয়েছে ভালো। এছাড়াও বিভিন্ন জাতের বিশেষ করে ল্যাংড়া, ফজলি, শষাসহ বিভিন্ন নামের আম বাজারে আসবে।
একজন লিচু ক্রেতা জানান, নতুন ফল বাজারে আসছে তাই সন্তানদের জন্য ১ শ লিচু কিনেছি। এ ফলের দাম প্রতিদিন বেড়ে যায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা। নতুন থাকতেই লিচুর দাম অনেক বেশি সামনে হয়তা আরো বাড়বে।
0Share