নিজস্ব প্রতিনিধি: খাল নদীদূষণ ও দখলমুক্ত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক চাপে পড়ে কাজ না করার জন্যও বলা হয়েছে তাঁদের। এর প্রেক্ষিতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থেকেই এই দখলমুক্ত অভিযান শুরু হবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
রাজনৈতিকভাবে কোনো চাপ এলে সেটা সরাসরি মন্ত্রীদের জানাতে বলা হয়েছে। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিনে নৌপরিবহন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত আলোচনা শেষে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান ও পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এ তথ্য জানান।
ডিসি সম্মেলনের অধিবেশন শেষে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, খাল নদীর জায়গা যেন কোনোভাবেই বরাদ্দ দেওয়া না হয়, এ জন্য ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের খাল নদী দূষণ ও দখলমুক্ত রাখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ঈদ সামনে রেখে যাঁর যাঁর এলাকায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতেও বলা হয়েছে।
ডিসিদের বলা হয়েছে কোনো রাজনৈতিক চাপে কাজ না করতে। রাজনৈতিকভাবে কোনো চাপ এলে সেটা যেন সরাসরি তাঁদের (মন্ত্রীদের) জানানো হয়।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে শীঘ্রই লক্ষ্মীপুরের কমলনগর, রামগতি, রায়পুর, রামগঞ্জ এবং সদরে জেলা পরিষদ,পাউবি,সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং জেলা প্রসাশক যেীথ ভাবে অভিযান চালিয়ে রাজনৈতিক পরিচয়ে দখল হয়ে যাওয়া খালে গড়ে ওঠা স্থাপনা সমূহ ভেঙ্গে ফেলার কাজ শুরু করবে।
জেলার পাঁচটি উপজেলায় ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতাকর্মী বা স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাধ্যমে বেশ কিছু খাল ইত্যেমধ্যে দখল হয়ে গেছে। পাঁচটি উপজেলার খাল দখল উৎসব নিয়ে লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোরের বিশেষ অনুসন্ধানমূলক সিরিজ প্রতিবেদন আসছে———-
0Share