তাবারক হোসেন আজাদ: িসরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে ১৫ অক্টোবর । এরপর আবারও মেঘনায় ইলিশ মাছ ধরার ধুম পড়েছে। এখন জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ডিমওয়ালা মা ইলিশ। জেলেদের মুখে হাসি ফুটলে ও প্রায় ৫০ শতাংশ মা ইলিশ এখনো ডিম ছাড়েনি বলে বুঝা যায়।
লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় গত তিন দিনে ১৫টি মাছ ঘাটে বেচা-কেনা হয়েছে অন্তত তিন হাজার মণ ডিমওয়ালা মা ইলিশ। ফলে জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে এখন শুধু ইলিশ আর ইলিশ। দামও কমেছে অনেক। ফলে ক্রেতা বিক্রেতা সবাই খুশি।
তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার কারণে এবার ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। এদিকে অভিযোগ রয়েছে নিষেধাজ্ঞার সময় একশ্রেণীর প্রভাবশালী মাছ ব্যবসায়ীর সেল্টারে কিছু জেলে মা ইলিশ নিধন করে তা আড়তদাররা বরফ দিয়ে মজুদ করেছে। সেই ইলিশে এখন বাজার ছেয়ে গেছে বলেও জানা যায়।
চল্লিশ বছর ধরে নদীতে ইলিশ ধরছেন জেলে ইমান হক ও করিম উদ্দিন। তারা জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে তাদের জালে ডিমওয়ালা ইলিশ ধরা পড়ছে। অনেক ইলিশ এখনো ডিম ছাড়েনি। আগামী ৫ থেকে ৬ দিনের মধ্যে বাকি ইলিশগুলো ডিম ছাড়তে পারে। ডিম ছাড়ার আগে ইলিশ মাছ দুর্বল থাকে। এ সময় নদীতে জাল ফেললেই আটকা পড়ে ইলিশ। অন্য সময় এভাবে মাছ আটকা পড়ে না।
তারা আরও জানান, মা ইলিশের ডিম ছাড়ার জন্য অভিযান চালানো হলেও অধিকাংশ মা ইলিশই এখনো ডিম ছাড়তে পারেনি। একই এলাকার আরেক জেলে রফিক মাঝি জানান, ঘরে অভাব ছিল, তারপরও নদীতে মাছ ধরিনি। এখন ডিমওয়া হলেও নদীতে মাছ পেয়ে খুব ভালো লাগছে।
জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোস্তফা বেপারী বলেন, প্রায় ৫০ শতাংশ ইলিশ মাছ নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে ডিম ছেড়েছে। বাকি ৫০ শতাংশ ইলিশ মাছ এখনো ডিম ছাড়েনি। জেলার প্রায় ২০ হাজার জেলে নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। গত তিন দিন ধরে এসব জেলে নদীতে মাছ ধরতে গেলে তাদের জালে অনেক ডিমওয়ালা ইলিশ ওঠে।
যোগাযোগ করা হলে ৫০ শতাংশ ইলিল এখনও ডিম না ছাড়ার কথা স্বীকার রায়পুর উপজেলা সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ১৫ থেকে ২০ দিন মাছ ধরা বন্ধ রাখলে সবগুলো ইলিশই ডিম ছাড়ার সুযোগ পাবে। আগামী বছর কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞাকালীন সময় বাড়াতে পারেন।
0Share