লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় অঞ্চল রামগতি উপজেলায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বছরব্যাপী বিনামূল্যে দুধ পান করানোর পাইলট কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) কাটাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমে ওই প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল মিল্ক কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম শান্তুনু চৌধুরী।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিক্ষার্থীদের দুধ পান করানোর মাধ্যমে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা ভেটেরিনারি অফিসার ডাঃ এ, কে, এস, এম মুশাররফ হোসেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. নজরুল ইসলাম, চর আলগী ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ ধনু দাস।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকবৃন্দ, দুধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সদস্যসহ প্রমুখ।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্বাচিত কাটাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্ প্রাথমিক থেকে ৫ম শ্রেণির ১৫০জন শিক্ষার্থীকে স্কুল খোলা থাকার দিনগুলোতে টিফিনের সময় ২০০ মিলি করে দুধ পান করানো হবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সরকার মেধাবী জাতি গঠনে কাজ করছে। একটি জাতি মেধাবী না হলে সে দেশ কোনদিন এগিয়ে যেতে পারে না। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে ভালো খাবার প্রয়োজন। এরমধ্যে অন্যতম প্রধান খাদ্য দুধ। নিয়মিত দুধ খেলে পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। এ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রাণিজ পুষ্টির যোগান পাবে, সুস্থ-সবলভাবে বেড়ে উঠবে। যার মাধ্যমে একটি মেধাবী জাতি গড়ে উঠবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম শান্তুনু চৌধুরী বলেন, শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে দুধের গুরুত্ব অনুধাবন করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কোমলমতি শিশুদের মাঝে স্কুল মিল্ক কর্মসূচির মাধ্যমে নিরাপদ ও পুষ্টিকর দুধ সরবরাহের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিশুদের সুস্থ, সবল ও সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার এক নতুন অধ্যায় সংযোজন হবে। যা আগামী দিনে শিশুদের বিদ্যালয়ে আসতে অনুপ্রাণিত করবে। বিশেষ করে দরিদ্র অঞ্চলে স্কুল থেকে ঝরে পড়া রোধ করতে এ কর্মসূচি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
মিসু সাহা নিক্কন./বার্তা/23/03
12Share