বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব বৈশাখী উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে ইলিশের গায়ে। ইলিশের স্বাদ নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের।বৈশাখি উৎসবে ইলিশ একটি বড় উপাদান হওয়ায় অর্থ হাতিয়ে নিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারো সক্রিয় উঠেছে সিন্ডিকেট চক্র। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট চক্ররা ইলিশের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজারে ইলিশের দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে বাজারে এসে ইলিশ কিনতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
সূত্র মতে, বৈশাখকে সামনে রেখে গেল সপ্তাহ থেকে চড়ে বসেছে ইলিশের দাম। এখন মাত্র ৩ দিন বাকি থাকায় বাজার চলে যাচ্ছে পুরোটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে। কাঙিক্ষত ইলিশ মাছের দাম হৈ-চৈ পড়েছে বাজারে। দোকানিরা দূষছেন, পাইকারদের আর ভোক্তার অভিযোগ তুলেছেন সরকারের ব্যর্থতার।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ইলিশ (৯০০ গ্রাম) প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার টাকা থেকে ৬ হাজার টাকা, ১ কেজি ওজনের ইলিশ দোকানি আবদার করছে ৭ হাজার টাকারও বেশি। জাটকা ৮০০ টাকা।
ক্রেতা দুলাল মিত্র জানান, সরকার ইলিশের বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছে। যার কারণে ইচ্ছা খাকা সত্ত্বেও ইলিশ কেনা দূরহ হয়ে পড়েছে। পুরো বৈশাখী উৎসবই ম্লান হওয়ার পথে।
তবে দোকানি মোতালেব জানান, আমাদের কিছুই করার নেই। পাইকাররা দাম বাড়িয়েছে, তাই আমরা বাড়িয়েছে। আমরা পারি বেচা বন্ধ করতে।
এ ছাড়া কেজিপ্রতি রুই ৩৪০, কাতলা ৪৩০, তেলাপিয়া ১২০, কৈ (চাষের) ২২০, সিলভার ১২০, পাঙ্গাস ১১০, টেংরা ৩২০, শোল মাছ ৩৫০, মলাঢেলা ২০০, বাইলা মাছ ৪৫০, কাচকি মাছ ২৫০, সুরমা মাছ ১৬০, টাকি ২৪০, বোয়াল ৩৫০ থেকে ৬০০, ভেদা ৩০০ এবং শিং মাছ ৮০০ টাকা।
অপরিবর্তিও রয়েছে চালের দাম। কেজিপ্রতি নাজিরশাইল (প্রকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪, মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা, স্বর্ণা ৩৮, লতা ৪০, পাইজাম ৪০, বিআর-২৮ ৪৩, আটাশ ৪৫, মোট চাল ৪২ এবং পারিজা ৩৯ টাকায়।
কেজিপ্রতি আলু ১৬, কাঁচা মরিচ ৬০, শসা ৩০, পটল ৭০, বেগুন ৪০, সিম ৪০, গাজর ২০, করলা ৪০, ঢেঁড়স ৪০, চিচিঙ্গা ৬০, পেঁপে ১৮, টমেটো ৩০, বরবতি ৪০, ফুলকপি ৪০, বাঁধা কপি ৩০, লাউ ৪৫ এবং মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কেজিপ্রতি পেঁয়াজ (আমদানি) ২৪ এবং দেশি পেঁয়াজ ২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা ও চায়না রসুন (একদানা) ৯০ টাকায়। এ ছাড়া দেশি আদার কেজি ২১০, শুকনা মরিচ ১৭০, হলুদ ১১০, হলুদের গুঁড়া ১৬০, মরিচের গুঁড়া ২২০, ধনিয়া ৭০, দেশি মশুর ডাল ১০৫, ভারতীয় মশুর ডাল ৭০, খেসারি ডাল ৪২, মুগ ডাল ১৩০ এবং ছোলা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কেজিপ্রতি প্যাকেট আটা ৩২ এবং ময়দা ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেট চিনি ৫২, খোলা চিনি ৪২ টাকা। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১১৯ টাকা এবং খোলা ১১৪ টাকায়।
প্রতিহালি মুরগির ডিম (ফার্ম) ২৮ টাকা, দেশি হাঁসের ডিম ৩৪ টাকা, মুরগি ৩৪ টাকা। পাকিস্তানি মুরগির ডিম ৩৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজি। এ ছাড়া গরুর মাংসের কেজি ২৮০, দেশি মুরগি (কেজি) ৩৮০, মুরগি ব্রয়লার ১৪০, লেয়ায়র ১৩০ এবং হাঁস ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
0Share