মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী বেহুন্দি জাল, কারেন্ট জাল, খুঁটি জাল, চরঘেরা জাল, মশারি জাল ও অন্যান্য ক্ষতিকর অবৈধ জাল অপসারণের লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুরের রামগতির মেঘনা নদীতে দিনব্যাপি অভিযান চালিয়েছেন উপজেলা মৎস্য দপ্তর।
রবিবার বিকেলে সেন্টার খাল ঘাটে ওই বিশেষ কম্বিং অপারেশনে জব্দ করা অবৈধ জালগুলোতে আগুন লাগিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এরআগে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে দিনব্যাপি অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উক্ত অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মোঃ মামুনুর রশীদ চৌধুরী এবং সহকারী প্রকল্প পরিচালক সুলতান মাহমুদ।
এসময় সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন এবং কোস্টগার্ড সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানকালে ২৫ টি বেহুন্দি জাল, ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। এসময় কোন জেলেকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে, জব্দকৃত ওই জালগুলোকে মেঘনার পাড়ে এনে আগুন দিয়ে ধ্বংস করা হয় ।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, মৎস্য সম্পদের জন্য ক্ষতিকর এসব জালের ব্যবহার বাড়লে জাটকাসহ সামুদ্রিক ও উপকূলীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের ডিম, রেণু ও পোনা নষ্ট হবে এবং উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়ার পাশাপাশি জলজ জীববৈচিত্র্য নষ্ট হবে। বিশেষ কম্বিং অপারেশন-২০২৪ উপলক্ষে আজকে আমাদের এ অভিযান। ক্ষতিকর অবৈধ জাল অপসারণের লক্ষ্যে মাসব্যাপি কয়েক ধাপে এ অভিযান চলবে।
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মোঃ মামুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, দেশের মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল অপসারণে বিশেষ কম্বিং অপারেশন শুরু করেছে সরকার। সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধঘোষিত এসব জাল ব্যবহারকারীকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
উল্লেখ্য, দি প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ রুলস, ১৯৮৫ অনুযায়ী সরকার ২০১৩ সালে মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী বেহুন্দি জাল, মশারি জাল, চরঘেরা জাল, বেড়/জগৎবেড় জাল, কারেন্ট জাল প্রভৃতি ক্ষতিকারক জালের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে এবং ইলিশ আহরণের জালের ফাঁস ৬ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার বা ২ দশমিক ৬ ইঞ্চি নির্ধারণ করেছে।
মিসু সাহা নিক্কন/বার্তা-01-24
0Share