বেড়িবাধ নেই; জোয়ার এলেই কমলনগরের মেঘনা উপকূলীয় চারটি ইউনিয়নের প্রায় হাজার হাজার মানুষ পানিতে বন্দি হয়ে পড়ে। এতে ফসলের মাঠ ও মাছেরঘের ও পুকুর ভেসে যায়। দুর্ভোগে পড়ে এলাকাবাসী।
পূর্ণিমার প্রভাবে মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তীব্র জোয়ারে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গত তিনদিন থেকে এ জোয়ার অব্যাহত রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন গুলো হলো উপজেলার চর ফলকন, সাহেবেরহাট, চর কালকিনি ও পাটারিরহাট ইউনিয়ন।
স্থানীয়রা জানায়, গত কয়েক বছরে মেঘনা নদীর ভাঙনে বেড়িবাধ বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে কমলনগর অরক্ষিত; বেড়িবাধ না থাকায় বর্ষা মৌসুমের অমাবস্যা-পূর্ণিমায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এতে করে ওই সব এলাকায় জোয়ারের পানিতে রাস্তাঘাট ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ ছাড়াও বাড়ি ঘরে পানি ঢুকে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, জোয়ারে মাতাব্বরহাট এলাকার বাসিন্দা আবুল বাসার, জাহাঙ্গীর হুজুর, মো. মজনু, হরমুজুল হক মাঝি, মো. হোসেনসহ ৮/১০ কৃষকের উঠান থেকে প্রায় ৩০ মণ ধান ভেসে যায়।
কৃষক মো. মজনু জানায়, ধান রোদে শুকাতে উঠানে দেয়া হয়। হঠাৎ কিছু বুঝে উঠার আগেই ধানগুলো জোয়ারে ভাসিয়ে নেয়। এছাড়া ক্ষেতের পাঁকা আউশ, বীজ তলা ও রোপা আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সাহেবহাট ইউনিয়ের হানিফ চৌকিদার বলেন, তীব্র জোয়ারের পানিতে তার প্রায় ১০ হাজার মাছ ভেসে গেছে। আশ পাশের এলাকার পুকুরের মাছগুলোও ভেসে যায়।
নাজিম উদ্দিন ফেরদৌস বলেন, জোয়ারের পানিতে তাদের বসত ঘরে এক হাটু পানি উঠে। রাতের জোয়ারে কষ্টের আর শেষ থাকে না। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কে রয়েছি।
ফলকন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. ছাদেক বলেন, দৈনিক দু’বেলা মেঘনায় জোয়ার আসে। জোয়ারের পানিতে স্কুল মাঠ ডুবে যায়।
সাহেবেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল খায়ের জানান, বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ার এলেই এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে। এতে মেঘনা পাড়ের হাজার-হাজার মানুষের দু:খ নেমে আসে।
চরফলকন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন বলেন, অমাবস্যা-পূর্ণিমার সময় মেঘনা নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেড়ে যায়। জোয়ারের পানি এলাকায় ঢুকে পড়ে। পানি কমে গেলে নদী ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যায়।
0Share