মেঘনার ভাঙন থেকে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চর কালকিনির নাছিরগঞ্জ বাজার ও এলাকা রক্ষায় স্থানীয় তরুণদের উদ্যোগে নির্মাণকৃত জঙ্গলাবাঁধ পরিদর্শন করেছেন উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার (৩জুলাই) সকলে পরিদর্শনে আসেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোবারক হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান ওমর ফারুক সাগর। নির্মাণকৃত ১’শ ফুট দৈর্ঘ্যের জঙ্গলাবাঁধের পুরোটা মেঘনাতীরের পথ ধরে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চর মার্টিন ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল কাশেম হাওলাদার, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, চর কালকিনির সন্তান আহমেদ উল্লাহ সবুজ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মো. রাকিব হোসেন সোহেল, সমাজ সেবক আলা উদ্দিন সবুজ, বাঁধ নির্মাণের উদ্যোক্তা স্বাস্থ্য সহকারি মো. জসিম উদ্দিন, সেনা সদস্য রিয়াজ উদ্দিন প্রমুখ।
এক পর্যায়ে জঙ্গলাবাঁধ নির্মাণে লক্ষ্মীপুর-৪আসনের সাবেক সাংসদ আবদুল্লাহ আল মামুনের ৫০হাজার টাকা উদ্যোক্তাদের মাঝে হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, স্থানীয়দের উদ্যোগে এলাকা রক্ষায় যে জঙ্গলাবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে, তা খুবই প্রশংসনীয়। যদি পানি বোর্ড বাঁধটি পরিদর্শন করে, তবে আরো ভালো হবে। যেহেতু এটা তাদের কাজ। বাঁধ নির্মাণে উপজেলা প্রশাসন পাশে আছে। আমরা ইতিমধ্যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। সামনে যদি সহযোগিতার প্রয়োজন হয়, আমরা বেসরকারিভাবেও সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।
উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, রামগতি-কমলনগরের অধিকাংশ অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এর মাঝে নাছিরগঞ্জ এলাকার তরুণরা যে জঙ্গলাবাঁধ নির্মাণ করেছে, আমরা তাদের অভিনন্দন জানাই। আমরা চেষ্টা করবো, বিভিন্নভাবে দান-অনুদান সংগ্রহ করে কাজটিকে এগিয়ে নিতে। ইতিমধ্যে রামগতি-কমলনগরের সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল মাসুন আমার মাধ্যমে ৫০হাজার টাকা অনুদান পাঠিয়েছেন। বর্তমান মেজর (অবঃ) মান্নান এমপি সাহেবও ২লাখ টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা এ অনুদান খুব শীঘ্রই হাতে পাবো। পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই, এ বিশাল নদীভাঙন কবলিত এলাকা রক্ষায় বিশাল একটা বরাদ্দ দেয়ার জন্য। যাতে একটা স্থায়ী সমাধান হয়।
0Share