ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও ভরা পূর্ণিমার প্রভাবে মেঘনা উপকূলীয় এলাকা লক্ষ্মীপুরের কমলনগর রামগতি, লক্ষ্মীপুর সদর ও রায়পুরের অনন্ত ১৫টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তবে বিকেল সাড়ে চারটার পর থেকে পানি নামা শুরু করেছে।
চার ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস ও জোয়ারের পানিতে ডুবে আছে রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ কালভার্ট, পুকুর ও জলাশয়। মানুষের বাড়ি-ঘরও ডুবে গেছে পানিতে।
তবে মাঠে এখন কোনো ফসল নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে প্লাবিত হওয়া ইউনিয়নগুলোর মধ্যে রয়েছে কমলনগর উপজেলার চর মার্টিন, চর কালকিনি, চর লরেন্স, চর ফলকন ও পাটোয়ারী হাট; রামগতি উপজেলার চর বাদাম, চর আলেকজেন্ডার, চল আবদুল্লাহ ও চর রমিজ।
সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের মধ্যে চর আবদুল্লাহ, তেলির চর ও সোনার চর এলাকার মানুষ। এসব এলাকায় পুরোটাই কয়েক ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
বুধবার (২৬ মে) দুপুর থেকে নদীতে অতিরিক্ত জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসের পানিতে এসব গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, ইয়াসের প্রভাবে হালকা বাতাস ও কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে এসব এলাকার মানুষ এখনও কোনো আশ্রয়কেন্দ্রে যাননি। ঝুঁকি নিয়ে নিজেদের ঘর-বাড়িতেই অবস্থান করছেন। কোনো আতঙ্ক নেই বলেও জানান তারা।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মোমিন জানান, খুব বেশি আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ভরা পূর্ণিমা ও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে মেঘনা তীরবর্তী এলাকায় প্লাবিত হয়েছে।
0Share