নিজস্ব প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় বেড়ী বাঁধের সাড়ে ১৩ কিলোমিটার এলাকা বর্তমানে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে বেড়ী বাঁধের দুপাশের মাটি সরে যাওয়ার পাশাপাশি রাস্তা জুড়ে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও জোয়ারের পানিতে বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হচ্ছে ঘর বাড়ী ও ফসলী জমি। এতে করে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন বেড়ীর দুপাশে বসবাসরত হাজার হাজার মানুষ ও ওই রুটে চলাচলকারীরা।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুরের মেঘনা উপকূলীয় বেড়ী বাঁধ প্রকল্প ৫৯/২ ফোল্ডারের (টাই বাঁধ) এলাকার চর রমনী মোহন ইউনিয়ন থেকে মজু চৌধুরীর হাট হয়ে কমলনগর উপজেলার মতিরহাট পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার বাঁধ এখন ঝুঁকিপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে বাঁধের দুপাশের মাটি সরে গিয়ে রাস্তাজুড়ে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনাও। এতে করে ওই রুটে চলাচলকারী রিক্সা, টেম্পু, সিএনজি অটোরিক্সা সহ হাজার হাজার মানুষ চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বলে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী।
আবার বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের পানিতে মজু চৌধুরীর হাট মাছ ঘাটের উত্তর পাশের বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয় বসত ঘর-বাড়ী ও কৃষকের আবাদকৃত ফসলী জমি। এমনি একটি স্থানে রাস্তা পারাপারে তৈরী করা হয়েছে বাঁশের সাকু। যেখানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে সাধারণ মানুষ।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকেৌশলী মো: খালেকুজ্জামান উপকূলীয় এই বাঁধটির বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, এই বঁাধটির প্রতিরক্ষা ও মেরামতের জন্য অন উন্নয়ন রাজস্ব বাজেট এর আওতায় আড়াই কোটি টাকা বরাদ্ধ চেয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষের কাজে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্ধ প্রাপ্তিতে বাঁধটি সংস্কারের কাজ হাতে নেয়া হবে বলে জানান তিনি। সংস্কার কাজে কত সময় লাগতে পারে জানতে চাইলে তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি তথা সংসদ সদস্যদের উপর দায়ভার ছেড়ে দিয়ে বলেন আমাদের কথা বার্তা সরকারের নজরে যায়না।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর-২ রায়পুর আসনের সংসদ সদস্য আবু নোমান জানান, জনগুরুত্বপূর্ন এই বাঁাধটির উন্নয়নের ব্যাপারে খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
0Share