নিজস্ব প্রতিনিধি:আগামী অর্থ বছরে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর মেঘনার ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করার জন্য ২’শ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় পানি সম্পদ মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ লক্ষ্মীপুরের রামগতির মেঘনা নদীর ভাঙন পরিদর্শনে শেষে আয়োজিত এক জনসভায় এ প্রকল্পের আশ্বাস দেন । এ সময় তিনি বলেন, দেশকে আগে তলাবিহীন ঝুঁড়ি বলা হতো। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ং-সম্পূন্ন। এ দেশের মানুষ প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুঁড়ি নয়। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ যোগ্যতা নিয়ে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সাথে এক কাতারে আসবে।
রামগতি উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে জেলা প্রশাসক একেএম টিপু সুলতানের সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ প্রতি মন্ত্রী লে. কর্নেল (অবঃ) মো. নজরুল ইসলাম বীরপ্রতিক, রামগতি ও কমলনগরের স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুন।
এ সময় উপস্থিতি ছিলেন লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল, লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনের সংসদ সদস্য মো. নোমান, পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ মিজান শাফিউর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম আলা উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহিম, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু ও জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এমআর মাসুদ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত : গত ৩ মে যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রামগতি আসলে মেঘনার ভাঙ্গণ কবলিত স্থান থেকে উপস্থিত জনতার সামনে পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সাথে তিনি মোবাইল ফোনে নদী ভাঙ্গনের করুণ বিষয়টি অবহিত করেন। এ সময় তিনি তাকে লক্ষ্মীপুরে আসার অনুরোধ জানান। তারই ধারাবাহিকতায় পানি সম্পদ মন্ত্রীর এ সফর বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
তিন যুগেরও অধিক সময়কাল ধরে মেঘনার ভাঙ্গনের শিকার রামগতি ও কমলনগর উপজেলার সাড়ে ৩ লাখ জনগণ। এ তিন উপজেলার হাজার হাজার ঘরবাড়ি, ফসলিজমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠিান, মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থাপনা মেঘনার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে লাখ লাখ ভাঙন কবলিত মানুষ জায়গা জমি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বিগত যে কোন সরকারের আমলে এর কোন স্থায়ী প্রতিরোধের ব্যবস্থা না হওয়ায় মানুষ এখন আল্লাহর ওপর ভরসা রাখছেন।
0Share