কমলনগর: কমলনগরে মেঘনা নদীর ভাঙনে প্রতিদিনই গৃহহীন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
গত তিন দিনে ২৫টি পরিবার ঘরছাড়া হয়ে গেছে। অবিরাম বৃষ্টিতে মেঘনা নদীর ভাঙনে বসতভিটা বিলীন হয়ে যাওয়ায় ঘরছাড়া হয়েছে তারা। রবিবার বিকেল পর্যন্ত কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি, সাহেবেরহাট, ফলকন ও পাটারিরহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের এসব পরিবার ভাঙনের কবলে পড়ে। এছাড়া, টানা বৃষ্টিতে জোয়ারের পানি বেড়ে উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘ তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে কমলনগরের মেঘনা নদী অব্যাহতভাবে ভাঙছে। বছরের সব মৌসুমে ভাঙন চলতে থাকে। তবে বর্ষা মৌসুমে মেঘনা নদীর ভাঙন ভয়াবহ রুপ নেয়। বর্ষা এলে মেঘনাপাড়ের ভাঙনে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এলাকার মানুষ। বৃষ্টি বাড়লেই ভাঙন বাড়ে।
বৃষ্টি ও জোয়ারের তীব্রতায় ভাঙন আরো ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। এতে উপকূলীয় চরকালকিনি, সাহেবেরহাট, ফলকন ও পাটারিরহাট ইউনিয়নের ২৫ টি পরিবার ভাঙনের কবলে পড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।
সাহেবেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাস্টার আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে টানাবৃষ্টি, বাতাস ও তীব্র জোয়ারের কারণে মেঘনাপাড়ের সাহেবেরহাট ইউনিয়নের প্রায় ১০টি পরিবার বিলীন হয়ে গেছে।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে কমলনগর উপজেলা কমপ্লেক্সসহ কয়েকটি হাট-বাজার হুমকির মুখে। এমন পরিস্থিতিতে ভাঙন প্রতিরোধে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এমনটিই কমলনগর বাসীর প্রত্যাশা।
0Share