সানা উল্লাহ সানু: লক্ষ্মীপুরের কমলনগর ও রামগতি উপজেলায় মেঘনা নদীর ভাঙনরোধে ১শ ৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগীয়
১৯ ব্যাটালিয়নের ইঞ্জিনিয়ারিং কোর দল। ১০ জানুয়ারি শনিবার বিকেলে রামগতি উপজেলা কমপ্লেক্সের সামনে কাজের উদ্ধোধন করেন লক্ষ্মীপুর-৪ (কমলনগর-রামগতি) আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুন।
এ সময় প্রকল্প পরিচালক ও চট্রগ্রাম বিভাগের ১৯ ব্যাটালিয়ন ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের লেঃ কর্নেল তানভির, প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর সরদার ইকবাল হোসেন, রামগতি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ, রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন হেলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, মেঘনা নদীর ভাঙনরোধে রামগতি-কমলনগর পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার এলাকার ওই প্রকল্পে সাড়ে ৫ কিলোমিটার এলাকায় বাঁধ নির্মাণের জন্য ১শ’ ৯৮কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে ৩৭ কিলোমিটার এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে পাঁচ বছর। যাতে পর্যাক্রমে ১৩’শ কোটি টাকার বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করেছে একনেক।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রথম ধাপে ২ উপজেলার তিনটি লোকেশনে সাড়ে ৫ কিমি কাজ হবে।
যার মধ্যে আলেকজান্ডার আসলপাড়া লঞ্চঘাট থেকে শুরু করে হাসপাতাল পার হয়ে পুর্ব আলেকজান্ডার মন্তাজ পাটোয়ারীর বাড়ির সামনে ভেঙে যাওয়া স্কুল পর্যন্ত সাড়ে ৩ কিমি কিলোমিটার। রামগতি লঞ্চঘাটে ১ কিমি এবং কমলনগরের মাতব্বরনগর এলাকায় ১ কিমি।
ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর প্রকৌশলী দল কাজের পরিকল্পনা এবং ড্রইং প্রায় চুড়ান্ত করে ফেলেছেন এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আসা শুরু হয়েছে। দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী দ্বারা কাজ শুরু হওয়ায় নদী ভাঙ্গা মানুষের মাঝে স্বস্থি ফিরে এসেছে।
ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ডেনিশ রাষ্ট্রদূত
ভাঙ্গনরোধে ১শ ৯৮ কোটি টাকার সরকারী প্রকল্প অনুমোদনের পর ৭ আগষ্ট ভাঙ্গন কবলিত আলেকজান্ডার বাজার এলাকা পরির্দশন করেন, ডেনিশ রাষ্ট্রদূত মিসেস হেনে ফুগল এসকেয়ার।
রাষ্ট্রদূত সফর সঙ্গীদের নিয়ে স্পীড যোগে উপজেলার বিভিন্ন ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন কালে তিনি এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সাথে আলাপ করেন বলেন, “আগামী দিনে মেঘনা নদীর ভাঙ্গন রোধে, সামাজিক সুরক্ষা, জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবেলা, অবকাঠামো, মানবিক ও সার্বিক উন্নয়নে ডেনিশ সরকার রামগতি-কমলনগর বাসীর পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন।
সাংসদ জনাব মামুন কে সংবর্ধননাঃ
অন্যদিকে ৬ আগষ্ট বহুল কাংখিত এ প্রকল্পে অগ্রনী ভূমিকার জন্য লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মামুনকে ফুলেল সংবর্ধনা দেয় স্থানীয় জনগন এবং রামগতি ও কমলনগর আওয়ামীলীগ। কমলনগর ও রামগতির অন্তত ৮টি স্থানে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের পূর্বে আওয়ামীলীগ ও অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় জনগণ সাংসদ কে শতাধিক মোটরসাইকেলের মিছিল ও শোভাযাত্রাসহ ঢোল-বাদ্য বাজিয়ে লক্ষ্মীপুর থেকে বরণ করে।
৫ আগষ্ট ২০১৪ প্রকল্প পাশঃ
৫ আগষ্ট রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় মেঘনার ভাঙন রক্ষাকল্পে রামগতি ও কমলনগরে ১শ ৯৮ কোটি ২ লাখ টাকার প্রকল্পটি পাশ হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মিডিয়ায় এ খরব প্রচার হলে রামগতি এবং কমলনগর উপজেলার বিভিন্নস্থানে এ আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিল-স্লোগানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুনকে অভিনন্দন জানানো হয়।
প্রকল্প ও লক্ষ্যঃ
রামগতি ও কমলনগর উপজেলা এবং তৎসংলগ্ন এলাকাকে মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গন হতে রক্ষাকল্পে নদী তীর সংরক্ষণ (১ম পর্যায়)’ শীর্ষক ১শ ৯৮ কোটি ২ লক্ষ টাকার প্রকল্পটি পাশ হয়। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে পানি উন্নয়ন বোর্ড ‘জুলাই, ২০১৪’ হতে ‘জুন, ২০১৯’ এর মধ্যে প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করবে।
সভায় জানানো হয় উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত মেঘনা নদীর পূর্ব তীরের ভাঙ্গন হতে সাধারণ মানুষের জীবন ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা এবং শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করাই এ প্রকল্পের লক্ষ্য। পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ প্রকল্পটি নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ ১৯৭৬ সালে নির্মিত ৫৯/২ পোল্ডারটির মাধ্যমে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানি নিষ্কাশন, শস্য উৎপাদন ও লবণাক্ত পানি প্রবাহ রোধ করা হচ্ছিল।
কিন্তু ২০০৭ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আইলার আঘাতে উক্ত পোল্ডারে উপকূলীয় বেষ্টনী বাঁধের ৩৭ কি. মি. মেঘনা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এ ছাড়া অব্যাহত ভাঙনে রামগতি ও কমলনগরের বহু রাস্তাঘাট হাটবাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার একর ফসলি জমিসহ সরকারি বেসরকারি বহু স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে রামগতি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স, হাসপাতাল, আ স ম আবদুর বর সরকারি কলেজ এবং কমলনগর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সসহ বহু প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা। এ অবস্থা থেকে প্রকল্প এলাকা রক্ষাকল্পে ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং এর সমীক্ষার ভিত্তিতে প্রকল্পটি নেয়া হয়।
পানি সম্পদ মন্ত্রী ও যোগাযোগ মন্ত্রীর সফরঃ
সর্বশেষ ১৯ জুন ২০১৪ তারিখে এই প্রকল্পটি পরির্দশনে আসেন পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এর পূর্বে ৩ মে যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রামগতি পরির্দশনে এসে মোবাইল ফোনে পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সাথে কথা বলে প্রকল্প এলাকায় আমন্ত্রন জানান। মন্ত্রীদ্বয় প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে প্রকল্পটি অনুমোদনের বিষয়ে স্থানীয় জনগণ কে আশ্বাস দেন।
যেভাবে আজকের এই প্রকল্প ঃ
ভাঙ্গন রোধের জন্য অনেক পূর্ব থেকে অফিসিয়াল বিভিন্ন চিঠিপত্রসহ প্রকল্পগঠনে অন্যান্যদের মাঝে অগ্রণী ভুমিকায় ছিলেন প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা এডভোকেট মাহবুবুর রহমান। তিনি বিভিন্ন তথ্য দেখিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০০৯ সালের ২৯ এপ্রিল মেঘনার ভাঙ্গনরোধকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়কে নির্দেশ দেন।
এ প্রেক্ষিতে রামগতি-কমলনগরের ভাঙ্গন রোধকল্পে বাংলাদেশ পানি উন্ন্য়ন বোর্ড ৬৪৮.৯৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের প্রাক্কলন তৈরি করে। তারা এটি অনুমোদনের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ে পাঠায়। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই পানি সম্পদ মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ২০১২-১৩ অর্থ বছরে সবুজ পাতায় অন্তর্ভূক্ত প্রকল্পসমূহের সংখ্যাযুক্তিকভাবে হ্রাস ও অগ্রাধিকার নির্বাচনি সভায় ৬৪৮.৯৮ কোটি টাকা থেকে কমিটি ২০০ কোটি টাকার মধ্যে প্রাক্কলন ব্যায় পুনঃনির্ধারণের জন্য বলেন। ডিপিপি পুনর্গঠন করার শর্তে ওই প্রকল্পটি একনেক’র সবুজ পাতায় ১২নং ক্রমিকে বরাদ্ধবিহীনভাবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। ২০১২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের পরিকল্পনা -৪’র সহকারি পরিচালক এক পত্রে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (ইডউই) মহাপরিচালকে ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংকে (ওডগ) মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনরোধে বাস্তবায়নযোগ্য পন্থা নিরুপনের দায়িত্ব প্রদান করেন। ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে এ বছরের ৩১ মার্চ মতবিনিময় ও কর্মশালায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রথম পর্যায়ে রামগতি বাজার ১ কি.মি, চর আলেকজান্ডার-রামদয়াল বাজার ৩.৫, মতিরহাট ৫.৫ কিলোমিটারসহ ১শ ৮০ কোটি টাকা, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫.৬ কিলোমিটার ৪শ ৬০ কোটি টাকা, তৃতীয় পর্যায় ১৫.৭২৪ কিলোমিটার ৪শ ৫০ কোটি টাকা মোট ১০৯৮ কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত ৭ বছরে বাস্তবায়ন যোগ্য প্রতিরক্ষামূলক বাঁধ নির্মাণের প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়।
অবশেষে সকল জল্পনা ও কল্পনার অবসান ঘটিয়ে স্থানীয় সাংসদ আবদুল্লাহ আল মামুনের সর্বশেষ সহায়তায় ৫ আগষ্ট জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় মেঘনার ভাঙন রক্ষাকল্পে রামগতি ও কমলনগরে ১শ ৯৮ কোটি ২ লাখ টাকার প্রকল্পটি পাশ হয়েছে।
পাউবো’র আগের পদক্ষেপ ঃ
১৯৭০ সাল থেকেই মেঘনার ভাঙ্গন চললেও ভাঙ্গন রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভূমিকা সামান্যই বলে ধরা যায়। পাউবো কমলনগরের মতিরহাট বাজার এলাকা ভাঙ্গন থেকে রক্ষার জন্য ১৯৮৮ সালে ব্লক দিয়ে ৩০০মিটার রিভেটমেন্ট দ্বারা ভাঙ্গনরোধ করা হয়। ১৯৯৮ সালে ৭৬ লাখ টাকা এবং ২০০৪ সালে ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই রিভেটমেন্ট সংস্কার করা হয়। ২০০৭ সালে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০০ মিটার রিভেটমেন্ট দ্বারা বাজারের উত্তর এলাকায় ভাঙ্গনরোধ করা হয়। এরপর থেকে গত ৭বছর ধরে ভাঙ্গন রোধে পাউবো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
স্থানীয়দের যত উদ্যোগ ঃ বালুভর্তি সেলাইকরা জিও ব্যাগের মাধ্যমে ২০১২ সালের নভেম্বরে মেঘনা নদীর রামগতি ও কমলনগরে ৫টি বাঁধ দেয়া হয়। প্রত্যেকটি ২০০ মিটার দৈর্ঘ্য এ বাঁধ দিতে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। যার মূল ব্যয় বহন করেছেন রাজনীতিবিদ, শিল্পপতিসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন।বাঁধগুলো রক্ষণাবেক্ষণের অভাব ও আর্থিক সংকটের কারণে গেল বছরের জুলাই মাসে তা ভেঙ্গে যায়। এরও আগে নদীতে ডোল বাধঁও দেওয়া হয় স্থানীয় কিছু দানশীলদের উদ্যোগে।
ভাঙ্গনরোধে আন্দোলনকারীরা ঃ
স্থানীয় লোকজন ভাঙ্গনরোধের দাবি জানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে হরতাল, অবরোধ, মানববন্ধন, সভা-সেমিনার, পদযাত্রা ও মসজিদসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে দোয়া ও প্রার্থনা করে আসছেন। ২০১০ সালে স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলক আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বে প্রায় ১০ হাজার মানুষ লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পদযাত্রা করেন। এ সময় তারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন। ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনেও একাধিকবার মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। ২০১২ সালে স্থানীয়দের উদ্যোগে গঠন করা হয়েছিল রামগতি রক্ষা মঞ্চ (সমন্বয়কারী ইসমাইল হোসেন রায়হান)। এ মঞ্চের ডাকে হরতাল ও হয়েছিল। তবে সবচেয়ে ফলপ্রসু এবং বিরতিহীন আন্দোলনের কৃতিত্ব আছে রামগতি-কমলনগর অনলাইন এ্যাক্টিভিটিস দল এবং রামগতি ফোরামের যার মূল উদ্যোগতা এনজিও এবং সংবাদকর্মী সারোয়ার মিরন। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ভিত্তিক এ আেেন্দালনে উপজেলা ও জেলাসহ বিশ্বব্যাপী বহু প্রবাসীও আন্দোলনে যুক্ত হবার সুযোগ পেয়েছে। তাদের আন্দোলন এখনও চলমান এবং প্রতিদিন নতুন নতুন সদস্য যুক্ত হচ্ছেন। কমলনগর এবং রামগতির সাংবাদিকরা ও অনবরত লিখে যাচ্ছেন।
স্থানীয় সাংসদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিঃ
স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা ছিল আমার নির্বাচনী প্রধান প্রতিশ্রুতি। মেঘনার ভাঙ্গন মানুষের জীবন-জীবিকা বিপন্ন করে দিয়েছে। আমি আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষার কাজে হাত দিয়েছি আপনাদের সহযোগিতা চাই।
শেষ কথাঃ ভাঙন যেন রামগতি ও কমলনগর উপজেলার মানুষের কাছে নিয়তি। নদীর পেটে সর্বস্ব তলিয়ে যাওয়া অর্ধলক্ষাধিক বাস্তুহারা মানুষের কান্না এতদিন যেন কেউ শুনছিল না। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজনীতিবিদদের উদাসীনতা ও পাউবো’র নিস্কৃতার জন্য ভাঙ্গনরোধের প্রধান প্রতিবন্ধকতা ছিল। এবার এ প্রকল্প দিয়েই মেঘনার ভাঙ্গন রক্ষা শুরু হবে। প্রকল্পটি এ পর্যন্ত নিয়ে আসার পিছনে অনেকের অবদান অস্বীকার করার মতো নয়। তবে এবার প্রকল্প পাশ করিয়ে ব্যবসায়ী এবং সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এলাকায় যেন বীরের সিংহাসনে বসতে যাচ্ছেন। অনেকের আশংকা এই মেঘনাই বিএনপি অধ্যুষিত এ জনপদ কে হয়তো স্থায়ীভাবে আওয়ামীলীগের কাছে নিয়ে যাচ্ছে।
0Share