গত ৪ সপ্তাহে লক্ষ্মীপুর জেলায় প্রবেশ করেন বিদেশ ফেরত ৩৬৬২ জনলোক । বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন থেকে সোমবার এদের তালিকা লক্ষ্মীপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আসে। সাথে সাথে বিষয়টি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীগণকে অবহিত করা হয়।সিভিল সার্জন ডা. আবদুল গফফার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বিদেশ ফেরত এইসব লোক জ্বর, সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত অবস্থায় চিকিৎসকের কাছে আসার পর তাদের চিহ্নিত করা হয়। তারপর ২০৯ জনকে সন্দেহজনক হিসেবে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এ নিয়ে লক্ষ্মীপুরে ২১৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনের রাখা হলো। মঙ্গলবার পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার সংখ্যা ছিল ৫ জন। নির্ধারিত ১৪ দিন মেয়াদ শেষ হওয়ায় ২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত করা হয়।
তবে এখন পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা কোন ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ পাওয়া যায়নি। তারা সবাই সুস্থ আছেন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও এমন সন্দেহজনক রোগীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য লক্ষ্মীপুর জেলার চারটি হাসপাতালে ১০০টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিগত দুই সপ্তাহের মধ্যে বিদেশ ফেরত কেউ থাকলে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়ে কোয়ারেন্টাইনের পদ্ধতি, করণীয় সম্পর্কে জানতে ১৬২৬৩ এবং ৩৩৩ নাম্বারে ফোন করতে বলা হয়েছে।
এ দিকে করোনা সচেতনতায় লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে জ্বর, সর্দি, কাশি রোগীদের জন্য আউট ডোরে সম্পূর্ণ আলাদা টিকেট কাউন্টার করা হয়েছে। এ সব রোগীদের জন্য আলাদা রুমে চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রটোকল অনুযায়ী পিপিই পরিধান করছেন চিকিৎসক। চিকিৎসকরা তিন ফুট দূরে বসিয়ে রোগীদের হিষ্ট্রি, অবস্থা জানছেন ও পরামর্শ দিচ্ছেন।
0Share