এম আর সুমন: লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় প্রথম (১৩) বছরের এক শিশুর নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। রায়পুর উপজেলায় এটিই প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা। সোরমার রাত ১১টার দিকে ওই শিশুর নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যায়। শনাক্ত হওয়া রোগীর বাড়ি উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের রাখালিয়া গ্রামে।
মঙ্গলবার সকালে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জাকির হোসেন। এর আগে চট্টগ্রাম বিআইটিআইডি হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে থেকে এ তথ্য লক্ষ্মীপুর জেলার সিভিল সার্জন আবদুল গাফ্ফার স্যারকে জানানো হয়।
রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, উপজেলায় এই শিশু নরমাল জ্বর ও সর্দিতে কয়েক দিন ধরে ভুগছেন। পরে রায়পুর উপজেলা সেবা প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী চলে যায়। তাঁর পরেও জ্বর, সর্দি ও কাশি ভালো হচ্ছে না, এমন খবর জানতে পেরে গত রবিবার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রাতে তাঁর পরীক্ষার ফল ‘পজিটিভ’ আসে। এরপর রাত ১২টার দিকে পুলিশের সহযোগিতায় অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে বাড়ি থেকে পরিবারের সকল সদস্যকে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে আইসোলেনে রাখা হয়েছে। এসময় ওই রোগীর বাড়িসহ আশপাশের ৫ পরিবার ও সেবা হাসপাতাল লকডাউন করা হয়েছে।
উপজেলার সোনাপুর ইউপির চেয়ারম্যান এডভোকেট ইউসুফ জালাল কিসমত জানান, আক্রান্ত ব্যক্তি একজন শিশু। সে বাড়িতেই থাকতো। আশপাশের কেউ বিদেশ ও ঢাকা-নারায়গঞ্জ থেকে আসেনি। কি ভাবে যে তার করোনা আক্রান্ত হলে এই এখন সনাক্ত করার বড় বিষয়।
কারণ ছোট ছেলে হওয়ায় সে এলাকার বিভিন্ন স্থানে খেলা-ধুলাসহ ঘুরে বেড়িয়েছেন। তরে রাতে তাঁর বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরীন চৌধুরী বলেন, রায়পুর উপজেলায় এই প্রথম কোনো ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হলো। রোগীর আশপাশের সকলতে মাইকিং করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে রায়পুর কোভিড ১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ শয্যা আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে। গত ৮ মার্চ এ ইউনিট খোলা হয়।
0Share