লক্ষ্মীপুর জেলায় চালু হলো বিনামূল্যের জয় বাংলা অক্সিজেন সেবা। এর মধ্য দিয়ে ওই জেলার করোনা রোগীরা অক্সিজেনের অপ্রতুলতা থেকে রক্ষা পাবেন। জেলার বাসিন্দারা বিনা মূল্য ওই অক্সিজেন সেবা পাবেন। রবিবার সন্ধ্যায় অনলাইনে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন। এর আগে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও ফেনীতে এ সেবা চালু হয়েছিল।
চলতি বছরের ২৫ জুন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সদ্য সাবেক স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরীর উদ্যোগে ও ছাত্রলীগের উপবিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক সবুর খান কলিন্স এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসু সদস্য রফিকুল ইসলাম সবুজের সহযোগিতায় এই সেবা কার্যক্রম চালু হয়। প্রথমদিকে ঢাকায় এ সেবা চালু হলেও বর্তমানে সারাদেশে এ সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এ পর্যন্ত আড়াই হাজারেরও বেশী মানুষকে এ সেবা দিয়েছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্বি বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, করোনার প্রথম দিকে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করতো। অক্সিজেন মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিলো কিন্তু অক্সিজেন মানুষের কাছে সহজযোগ্য ছিলো না। যার কারণে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করতো যে অক্সিজেন ব্যতীতই তাদেরকে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে। মানুষের সেই উপলব্ধিকে চিন্তায় রেখে সাদ বিন কাদের, সবুর এবং সবুজ জয় বাংলা অক্সিজেন সেবার কাজটি মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়া যাওয়ার চেষ্টা করেছে। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের শিক্ষা, জাতির পিতার শিক্ষা। সেই শিক্ষায় দীক্ষিত হয়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠনগুলো পরিচালিত হয়।
তিনি আরো বলেন, জয় বাংলা অক্সিজেন সেবা একটি ইনোভেটিভ আইডিয়া। ছাত্রলীগ ইনোভেটিভ কাজ করবে এটিই স্বাভাবিক। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এই সংগঠন ও আওয়ামী লীগের কাজই হলো মানুষের পাশে দাঁড়ানো। দুর্যোগে-দুর্বিপাকে মানুষ যখন অসহায় তখন মানুষের পাশে দাড়ায়। মানুষ যখন বিপদগ্রস্ত আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ তখন মানুষের পাশে দাঁড়ায়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, লক্ষ্মীপুর জেলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে যেভাবে কাজ করেছে সেভাবে অন্য সংগঠনের নেতা-কর্মীরা, যারা নির্বাচনের সময় এলাকায় আসে, তারা যদি করোনাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের মতো মানুষের পাশে থাকতো হয়তো সাধারণ মানুষ খুশী হতো। আমরাও খুশী হতাম। আমরাও প্রয়োজনে তাদের ধন্যবাদ দিতাম, সহযোগিতা করতাম। তারা না থাকলেও তাদের কাজগুলো আমরা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে চালু রেখেছি।
এসময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সদ্য সাবেক স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী, ছাত্রলীগের উপবিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক সবুর খান কলিন্স এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসু সদস্য রফিকুল ইসলাম সবুজ।
0Share