লক্ষ্মীপুর জেলায় প্রথম করোনার টিকা নিয়েছেন সিভিল সার্জন আবদুল গাফফার। এরপর টিকা নিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাঁদের টিকা নেওয়ার মধ্য দিয়ে জেলায় করোনা টিকাদান কর্মসূচি চালু হয়েছে।
সকাল ১০টা থেকে পাঁচটি উপজেলায় করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। এ জন্য সদর হাসপাতালে ২১টি ও চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩১টি টিকাকেন্দ্র করা হয়েছে।
জেলায় প্রথম দিন সাত হাজার মানুষকে করোনার টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তিন দিনে মোট ৩০ হাজার মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হবে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, টিকা নিতে শনিবার রাত ১১টা পর্যন্ত জেলায় নিবন্ধন করেছেন ৬ হাজার ১৬২ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২ হাজার ২৭৪ জন, রায়পুরে ১ হাজার ২৯৯, রামগঞ্জে ১ হাজার ১২৩, কমলনগরে ৫৬৮ ও রামগতি উপজেলায় ৮৯৮ জন রয়েছেন।
কমলনগর: কমলনগরে প্রথম টিকা গ্রহন করেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: আবু তাহের পাটোয়ারী, এর পর টিকা নেন উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন বাপ্পী এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
রায়পুর: স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনে ইউএনও, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ওসি ও সাবেক মেয়রকে টিকা দেয়ার মাধ্যমে এর কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
রামগঞ্জ: রামগঞ্জ উপজেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্থানীয় এমপি ড. আনোয়ার হোসেন খান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সভায় রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাপ্তি চাকমার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, রামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারী, রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার গুনময় পোদ্দার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ.ক.ম রুহুল আমিন।
রামগতি: প্রথম করোনা টিকার ভ্যাকসিন নিলেন রামগতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ আব্দুল মোমিন,সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুচিত্র রঞ্জন দাস, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কামনাশিস মজুমদার, ওসি মোঃ সোলাইমান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকবৃন্দসহ অন্যান্য সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
জেলা সিভিল সার্জন আবদুল গাফফার বলেন,
টিকা নিয়ে যে অপপ্রচার রয়েছে, তা বন্ধে আমি আগে টিকা নিয়েছি। টিকায় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। একটু ব্যথা, জ্বর ও শরীরে র্যাশ হতে পারে। আমরা এগিয়ে এলে সাধারণ মানুষের সংশয় দূর হবে।’ তিনি আরও বলেন, মানবদেহে এই টিকা নিরাপদ প্রমাণিত হয়েছে। টিকা প্রয়োগের পর এটিকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য মানবদেহে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে দেখা গেছে। টিকা শুধু ওই টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিকেই নয়, তাঁর আশপাশে থাকা অন্যদেরও স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেবে। তাই সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে, অনলাইনে নিবন্ধন করে যথাসময়ে টিকা নিয়ে নিরাপদ থাকতে।
0Share