কক্সবাজারের বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার জাহাজে বিষ্ফোরণে পুড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হওয়া ১২ জেলের মধ্যে মিলন শনিবার বেলা ৩টার দিকে মারা গেছেন। এর আগে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে রিপন মাঝি ও রাত ১১টার দিকে কাশেম মিস্ত্রি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার তাদের কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। বাকি ১১ জনের অবস্থাও আশংকাজন।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছে ওই জেলের জন্য চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের প্রধান সমন্বয়কারী ও সেচ্ছাসেবি সংগঠন স্বপ্ন নিয়ের পরিচালক আশরাফুল আলম হান্নান। আহত ওই ১২ জেলের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর গাজী ইউনিয়নের দক্ষিণ টুমচর গ্রামে। আহতরা হলেন, মেহরাজ নামের ৩জন, মিরাজ নামের ২ জন, বেলাল, জাহের, আলাউদ্দিন, মিলন, রিপন মাঝি।
আশরাফুল আলম হান্নান, জেলে এবং তাদের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, গত রবিবার(২৮ ফেব্রুযারি) তারিখে কক্সবাজারের গভীর সমুদ্রে মাছধরা অবস্থায় তাদের জাহাজে বিষ্ফোরণ হয়। বিষ্ফোরণে জাহাজের ইঞ্চিনরুমে থাকা ওই ১২ জেলের শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। এরপর সমুদ্রের আরো কয়েকটি জাহাজের সহযোগিতায় প্রথমে তাদেরকে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতিতে এবং সেচ্ছাসেবি সংগঠন স্বপ্ন নিয়ে এর প্রচেষ্টায় তাদেরকে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
অন্যদিকে স্থানীয় ভাবে জানা যায়, আগুনে পড়ে গিয়ে আহত হওয়া ওই ১২ জেলে যখন প্রায় বিনা চিকিৎসা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিল ঠিক তখনই, সেচ্ছাসেবি সংগঠন স্বপ্ন নিয়ে তাদের কে বিশেষ সহায়তায় ঢাকায় নিয়ে আসে। এরপর ভর্তিসহ যাবতীয় ব্যবস্থা করে দিয়ে তাদের চিকিৎসার জন্য সেচ্ছাসেবি নিয়োগ করে। অন্যদিকে দিকে আহতদের রক্ত, খাবার, ঔষধ ইত্যাদি সহায়তা দেয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহযোগিতা চেয়ে পোস্ট অব্যাহত রাখে।
যোগাযোগ করতে চাইলে -স্বপ্ন নিয়ে
01784399868,
0 19 2623 5538,
0 16 8693 7962
রোগীদের স্বজনদের নাম্বার –
শাহাদাত
01835622148
মমিন মাঝি
0Share