লক্ষ্মীপুরে করোনা ভাইরাসের টিকার জন্য অনলাইনে নিবন্ধনকারীদের মোবাইল ফোনে মাসেজ না আসা পর্যন্ত টিকাকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্যঅনুরোধ জানিয়েছে লক্ষ্মীপুর স্বাস্থ্য বিভাগ। মঙ্গলবার (১০ আগষ্ট) সকালে স্বাস্থ্যবিভাগের অফিসিয়াল ফেজবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। একই রকম নোটিশ প্রকাশ করেছে কমলনগর, রামগতি, রায়পুর এবং রামগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রে লোকজনের ভীড়ে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। স্বাস্থ্য বিভাগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানানো হয়, ‘টিকা গ্রহীতাদের আনলাইনে নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ার পর মোবাইলে টিকা গ্রহণের ম্যাসেজ গেলে ঢিকা প্রদান করা হবে। ম্যাসেজ প্রদান ব্যতিত কাউকে টিকা প্রদান করা হবে না। জেলার বিভিন্ন উপজেলার এবং জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে করোনার টিকা প্রদান করা হচ্ছে।’ এতে আরও বলা হয়, ‘জেলাতে বর্তমানে অধিকাংশ লোক টিকা গ্রহণের জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। সে মোতাবেক যথাযথ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা সাপেক্ষে স্বাস্থ্যবিভাগ সিরিয়ালের ভিত্তিতে মোবাইলে টিকা গ্রহণের ম্যাসেজ প্রদান করেন। তাই মেসেজ পেতে দেরি হলে চিন্তার কোন কারণ নেই। যথাসময়ে মোবাইলে টিকা গ্রহণের জন্য ম্যাসেজ প্রেরণ করা হবে।’ লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে।
গত ৭ আগষ্ট গণটিকার প্রথম দিনেও ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে পর্যায়েও টিকাকেন্দ্র গুলোতে লোকজনের ব্যাপক উপস্থিতি ছিলো। কিন্তু চাহিদার তুলনায় টিকার পরিমাণ কম থাকায় অনেকে টিকা নিতে পারেন নি। অনলাইনে নিবন্ধন থাকার পরেও বয়স ভিত্তিক ‘টিকিট’ সিস্টেমের মাধ্যমে ওইদিন বেশ কিছু কেন্দ্রে টিকা প্রদান করা হয়েছে বলে জানান টিকা গ্রহীতারা। মঙ্গলবার বিকেলে জেলা সিভিল ডা. আব্দুল গাফফার বলেন, চাহিদা আছে, কিন্তু সে হিসেবে টিকার জোগান কম। কিন্তু পর্যায়ক্রমে সবাইকে টিকার আওতায় আনা হবে। যারা নিবন্ধন করেছেন তারা ম্যাসেজ না পেলেও টিকা কেন্দ্রে গিয়ে উপস্থিত হচ্ছে। এতে বেশি লোকজন একসাথে জড়ো হলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই ফেসবুকে গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
0Share