এমআর সুমনঃ লক্ষীপুরের রায়পুরে করোনার টিকা নিতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। শনিবার (১৩নভেম্বর ) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
এ সময় মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়নি। ফলে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, সকাল ৬টা থেকেই টিকা প্রত্যাশীরা হাসপাতালের সামনে এসে ঘোরাঘুরি শুরু করে।
সকাল ৮টা বাজতেই লক্ষ্য করা গেছে মানুষের প্রচুর ভিড়। গ্রহীতার তুলনায় মাত্র দুটি বুথে টিকা প্রদান করায় দীর্ঘ লাইন তৈরি হচ্ছে। জানা গেছে, ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা কার্যক্রম না থাকায় রেজিস্ট্রশন করেই মানুষ হাসপাতালে ছুটছে। মানুষ স্বাস্থ্যবিধি তো মানছে না বরং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে নানা তর্কে জড়িয়ে পড়ছে।
অপরদিকে টিকাগ্রহণাকারীদের অনেকেই জানান, সকাল ৯টা থেকে টিকা প্রদান শুরু হয়। তারা অনেকেই সকাল ৭টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন টিকা নেওয়ার জন্য। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ জাকির হোসেন বলেন, আগের তুলনায় টিকা গ্রহণে আগ্রহীর সংখ্যা বাড়ছে। মানুষের মনে যে শঙ্কা ছিল তা দূর হয়ে গেছে।
এ পর্যন্ত তাদের কাছে ৮০০ ডোজ টিকা রয়েছে। শুধু এসএমএস প্রাপ্ত ব্যক্তিরাই টিকা নিতে পারবেন। যাদের কাছে এসএমএস যায়নি ভবিষ্যতে এসএমএস প্রাপ্তি সাপেক্ষে টিকা নিতে পারবেন। এছাড়াও অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের টিকাও তাদের কাছে মজুদ রয়েছে এবং দ্বিতীয় ডোজের টিকা কার্যক্রম চলছে। তিনি আরও জানান, আমরা এরই মধ্যে জনগণকে অবহিত করেছি, যারা এসএমএস পাবেন- তারাই শুধু হাসপাতালে টিকা গ্রহণ করতে আসবেন।
কিন্তু সাধারণ মানুষ রেজিস্ট্রেশন করেই হাসপাতালে চলে আসছেন। টিকা নিতে যে কারণেই ভিড় দেখা গেছে। টিকার স্বল্পতার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আজ পর্যন্ত টিকার স্বল্পতা নেই। ভবিষ্যতে টিকা সরবরাহ না থাকলে স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। প্রাপ্তি সাপেক্ষে টিকা কার্যক্রম চলমান থাকবে।
0Share