ঈদুল আযহার ছুটি শেষে গত ৮ জুলাই তারিখ সকাল সাড়ে ৯ টায় কর্মস্থল ঢাকার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওয়ানা দেন আনোয়ার হোসেন। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কল দিয়ে তার ব্যবহৃত ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। আজ পর্যন্ত আনোয়ারের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত ফোনটিও বন্ধ রয়েছে।
ভুক্তভোগী এ যুবক লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার সাহেবেরহাট এলাকার কাদির পন্ডিতহাট সংলগ্ন হাসু সর্দার বাড়ির মোঃ সেলিমের ছেলে। তিনি ঢাকার একটি গার্মেন্টসে কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এঘটনায় আনোয়ারের বাবা মোঃ সেলিম গত ৯ জুলাই তারিখে কমলনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, আনোয়ার হোসেন ঢাকার একটি গার্মেন্টসে কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিল। ঈদুল আযহার ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দিতে গত ৮ জুলাই বাড়ি থেকে বের হয়। সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে স্থানীয় কাদির পন্ডিতেরহাট বাজার থেকে অটোরিকশা যোগে ঢাকা যাবে বলে চর লরেঞ্চ বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার ব্যবহৃত ফোনে কল করে বন্ধ পাওয়া যায়।
এরপর পরিবার,আত্মীয়, স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের মাধ্যমে লক্ষ্মীপুরসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে এখনো তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। আনোয়ারের ছোট একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
আনোয়ারের বাবা সেলিম জানায়, আনোয়ার কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত নন। তবে বিদেশে প্রতারণার বিষয়ে স্থানীয় কিছু স্বজনদের সাথে তাদের মনমালিন্য হয়।
তিনি আরো জানান, আনোয়ার ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে
ডিজাইন কর্মী হিসেবে কাজ করতো। পরিবারের স্বচ্ছতা আনার জন্য স্থানীয় একজন স্বজনের মাধ্যমে গার্মেন্টস ভিসা নিয়ে ওমান যান। কিন্ত সেখানে গিয়ে দেখতে পান তার সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। ৪৯ দিন পর তিনি ওমান থেকে দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে গত ৩ মাস আগে আবার গার্মেন্টসে যোগ দেন আনোয়ার। প্রবাসে নিয়ে প্রতারণার ঘটনায় স্থানীয় সে স্বজনদের সাথে তার পরিবারের মনমালিন্য হয়। এছাড়া আর কারো সাথে তাদের কোন বিরোধ নেই।
ছেলেকে খুঁজে পেতে আনোয়ারের বাবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমলনগর থানার ওসি মোঃ সোলাইমান জানান, থানায় সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে আমরা খোঁজ নিচ্ছি।
273Share