সানা উল্লাহ সানু: শনিবার মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশেও পালিত হবে ঈদুল ফিতর। ইতোমধ্যে জেলার মুসলিম সম্প্রদায় ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। লক্ষ্মীপুরের ৫টি উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদগাহগুলো স্থানীয়দের উদ্যোগে নামাজের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর ডটকমের রামগতি, কমলনগর, লক্ষ্মীপুর, রায়পুর, রামগঞ্জ প্রতিনিধি, ইসলামি ফাউন্ডেশন লক্ষ্মীপুর এবং জেলার ইমাম সমিতি থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, জেলার অধিকাংশ স্থানে এবারের ঈদুল ফিতরের নামাজ সকাল আট থেকে ১০টার মধ্যেই শেষ হবে।
দু’একটি স্থানে ২টি জামাত ও অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
অন্যদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঈদের দিন বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার অফিস।
জেলাব্যাপী ঈদুল ফিতরের নামাজের তথ্য নিয়ে লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদনঃ-
জেলার ঐতিহাসিক ঈদগাহ ময়দান: লক্ষ্মীপুরের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ ময়দান গুলোর মধ্যে অন্যতম রামগঞ্জের নোগাঁও ইউনিয়নের নোয়াগাঁও বাজার ঈদগাহ ময়দান। এখানে রামগঞ্জ এবং নোয়াখালীর চাটখিল এলাকাসহ দূর দূরান্তের বহু মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করতে আসেন। পাশাপাশি রায়পুরের আশরাফগঞ্জ নতুন বাজার জামে মসজিদ ঈদগাহ ময়দান, লক্ষ্মীপুরের টুমচর কামিল মাদরাসা কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ ঈদগাহ, লক্ষ্মীপুর শহরের সোনা মিয়া ঈদগাহ ময়দান, ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চর মনসা গ্রামের ঐতিহাসিক এমলিতলা ঈদগাহ ময়দান এবং একই ইউনিয়নের শত বছরের পুরাতন সৈয়দপুর মসজিদ ঈদগাহ ও বশিকপুরের ঐতিহাসিক ঈমাম উদ্দিন ঈদগাহ ময়দান। ঐতিহাসিক এ ময়দান গুলোতে ঈদুল ফিতরের নামাজ সকাল আট থেকে ১০টার মধ্যেই শেষ হবে বলে জানা যায়।
জেলার অন্যান্য ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাতঃ
জেলা শহরে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে জেলা কালেক্টরেট ভবন সংলগ্ন কালেক্টরেট মসজিদে। এখানে জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা নামাজ আদায় করবেন।
সদর উপজেলা ঃ
অন্যদিকে সদর উপজেলার সোনামিয়া ঈদগাহ ময়দান, মজুচৌধুরীর হাট বাইতুস সাইফ দরবার শরীফ মসজিদ, ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের ঐতিহাসিক এমলিতলা ঈদগাহ ময়দান, বশিকপুর ইউনিয়নের ঐতিহাসিক ঈমাম উদ্দিন ঈদগাহ ময়দান, বিরাহিমপুর ঈদগাহ ময়দান, দক্ষিণ বদরপুর ঈদগাহ ময়দান, পশ্চিম কল্যাণপুর ঈদগাহ ময়দান, হযরত দেয়ানশাহ মাজার সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দান, চরশাহী ইউনিয়নের নতুনহাট ঈদগাহ ময়দান, দিঘলী বাজার জামে মসজিদ, চন্দ্রগঞ্জ বাজার জামে মসজিদ, নাগেরহাট মসজিদ এবং মান্দারি বড় মসজিদে ঈদের জামাতে স্থানীয়র মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
রায়পুর: রায়পুর উপজেলার হায়দরগঞ্জ তাহেরিয়া আর.এন ফাজিল মাদ্রাসা ময়দানে প্রতি বছর ইমামতি করেন চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের খতিব আল্লামা সাইয়েদ তাহের আল জাবেরী আল মাদানী। অন্যদিকে রায়পুর উপজেলার বড় মসজিদ প্রাঙ্গন, রায়পুর আলিয়া মাদরাসা ঈদগাহ ময়দান, পৌরসভার ৬ নং ওর্য়াডের চাকলাদার ভূইঁয়া বাড়ি ঈদগাহ ময়দান, কেরোয়া ইউনিয়নের সুনামগঞ্জ বাজার মোল্লা বাড়ি ঈদগাহ ময়দানে স্থানীয়রা ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
রামগঞ্জ:
রামগঞ্জে ঈদুল ফিতরের বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় রামগঞ্জ কেন্দ্রিয় জামে মসজিদে। এছাড়া সোনাপুর বড় মসজিদ, রামগঞ্জ উপজেলা ডাকবাংলা মাঠ, চন্ডিপুর ইউনিয়নের পদ্মাবাজার ঈদগাহ ময়দান, করপাড়া ইউনিয়নের শ্যামপুর দায়রা শরীফ ঈদগাহ ময়দান, রাজগঞ্জ কেন্দ্রিয় ঈদগাহ ময়দান,শাহ মিরান মাজার সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে।
রামগতি: আলেকজান্ডার বাজারস্থ রামগতি উপজেলা কমপ্লেক্স জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে । এখানে উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদ নামাজ আদায় করবেন । তবে শুকনো মৌসুমে এ জামাতটি হয় আলেকজান্ডার পাইলট হাই স্কুল মাঠে। এছাড়া রামগতি বাজার দায়রা বাড়ী জামে মসজিদ, কলাকোপা মাদরাসা সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দান, ভেদার ভক্ত জামে মসজিদ এবং কাদের হুজুরের মসজিদেও ঈদের বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
কমলনগর: কমলনগর উপজেলায় ঈদের প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা সদর হাজিরহাট বাজার জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে। এখানে ইমামতি করবেন কাজী মাওলানা গিয়াস উদ্দিন। কমলনগর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকট সৈয়দ মোহাম্মদ শামছুল আলম এখানে নামাজ আদায় করবেন।
এছাড়া উপজেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে তোরাবগঞ্জ বাজার জামে মসজিদে এখানে ইমামতি করবেন মাওলানা মোঃ মহসিন। অন্যদিকে চর লরেঞ্চ বাজার তাহেরিয়া ঈদগাহ ময়দান, কাদিরপন্ডিতের হাট জামে মসজিদ ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে ।
সব মিলে জেলার বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে শতাধিক মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
0Share