লক্ষ্মীপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন স্থাপনা ঐতিহাসিক মটকা মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল ২০১৮ সালের মার্চ মাসে। লক্ষ্মীপুর জেলার পুরাকীর্তি ও ঐতিহ্যবাহী মটক মসজিদ না ভাঙ্গার আকুতি জানিয়ে ঐদিনই এ নিয়ে লক্ষ্মীপুরের স্থানীয় ডিজিটাল গণমাধ্যম লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোরে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে । কিন্ত দুর্ভাগ্যজনক ভাবে প্রশাসন থেকে যথাযথ কোন পদক্ষেপ নেয়ার বিষয় চোখে পড়েনি। প্রয়োজন দেখিয়ে মসজিদটি ভাঙ্গা শেষ হয়েছিল।
পুরাকীর্তির গুণ থাকা একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলার তিন বছর পরেও আজ ২০২১ সালের ৫ মে তারিখে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে এ মসজিদের জীবন্ত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তা পড়ে যে কেউ মনে করতে পারে এ মসজিদটি এখানো আছে। শুধু তথ্যই না, ঐখানে কিভাবে যাওয়া যাবে তাও লেখা রয়েছে।
লেখাটি অবিকল তুলে ধরা হলো:
মট্কার মতো দেখতে এক বিশালাকার গম্বুজ মাথায় নিয়ে ১২০৬ সনে জনৈক দুলুভ বানু দানকৃত অর্থে মজুপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় মটকা মসজিদ। মসজিদের ভেতরে লতা-পাতার কারুকাজ সে সময়ের গ্রাম্য স্থাপত্যের শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গির বিশেষত্বকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
কিভাবে যাওয়া যায়:
লক্ষ্মীপুর বাস ষ্টেন্ড থেকে সি এন জি অথবা রিক্স যোগে যাওয়া যায়।
তবে আরো দুর্ভাগ্যজন তথ্য হচ্ছে, জেলা শহরের এ মসজিদটি সবার সামনেই ২০১৮ সালের মার্চ মাসে প্রয়োজন দেখিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল। কিন্ত ওই বছরের আগস্ট মাসে লক্ষ্মীপুর জেলা ব্র্যান্ডিং নিয়ে সয়াবিনের লক্ষ্মীপুর নামে যে বই প্রকাশিত হয় তার ৫২ পৃষ্ঠায়ও ঐ মসজিদটিকে জীবন্ত দেখানো হয়েছে।
স্থানীয় ভাবে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের মজুপুর গ্রামে অবস্থিত একটি মসজিদ যেটি মটকা মসজিদ নামে পরিচিত ছিল। প্রায় ২শতাধিক বয়সি ওই মসজিদটি ২০১৮ সালে নতুন একটি মসজিদ নির্মাণ করার লক্ষ্যে মসজিদ কমিটি তা ভেঙ্গে ফেলে। পুরাকীর্তির গুরুত্ব ও আইন অনুসারে এ রকম স্থাপনা সংরক্ষণ ছাড়া ধ্বংস করা যায় না।
লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও ছবি: ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে লক্ষ্মীপুরের দুই শতাধিক বছরের ঐতিহাসিক মটকা মসজিদ
0Share