সমুদ্রে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে ৬৫ দিনের জন্য গভীর সমুদ্রে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলেরা যাতে মাছ নিধন করতে না যেতে পারে এজন্য লক্ষ্মীপুরের রামগতির মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছেন জেলা মৎস্য অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে টহল ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। উক্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুকবুল হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বিল্লাল হোসেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন, বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও পুলিশ পরিদর্শক মো: কামরুজ্জামান, কোস্টগার্ড কন্টিনজেন্ট কমান্ডার (সিসি) আবদুল আলীম।
অভিযানকালে ২টি বেহুন্দি জাল জব্দ করা হয়েছে। তবে, সমুদ্রগামী কোন মাছ ধরার ট্রলার পাওয়া যায়নি। পরে, জব্দকৃত ওই জালগুলোকে মেঘনার পাড়ে এনে আগুন দিয়ে ধ্বংস করা হয়।
রামগতিতে সমুদ্রগামী জেলের সংখ্যা ১৭ হাজার ৮ শত ৬০ জন এবং নৌকা রয়েছে ৩ শতটি। এ ৬৫দিন অভিযান চলাকালে প্রত্যেক পরিবারকে মাসিক ৪০ কেজি হারে মোট ৮৬ কেজি (ভিজিএফ) চাল দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা মৎস্য দপ্তর।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বিল্লাল হোসেন বলেন, আমরা বিভিন্ন মাছঘাটের জেলেদের নিয়ে অভিযানের পূর্বে কর্মশালা করেছি, জেলেদের সর্তক করেছি। এরপরেও জেলেরা যাতে গভীর সমুদ্রে মৎস্য শিকার করতে না পারেন সে লক্ষ্যে আজকের এ অভিযান। মৎস্য বিভাগ, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে যথেষ্ট তৎপর রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মাছের প্রজনন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও উৎপাদন এবং টেকসই মৎস্য আহরণের লক্ষ্যে এ ৬৫ দিন সমুদ্রে সকল প্রজাতির মাছধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০-এর ধারা-৩ এর উপধারা-২ এর ক্ষমতাবলে গত ১৩ এপ্রিল এ নিষেধাজ্ঞার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
0Share