আব্দুর রহমান বিশ্বাস: মেঘনা নদীতে দুই মাস ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে মধ্য রাতে। মার্চ-এপ্রিল এই দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আবারও নদীতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন লক্ষ্মীপুরের অর্ধ লক্ষাধিক জেলে। মাছ শিকার করে দেনা পরিশোধ করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা।
রামগতি উপজেলার বড়খেরী ঘাট এলাকার সাহেদ, রাকিব ও নুর আলম মাঝি জানান, দুই মাস নদীতে অভিযান ছিল। এই নিষিদ্ধ সময়ে ৪০ কেজি করে চাল পেলেও তাঁদের সংসার চালানো ছিল কষ্টের। তাই এনজিও ও মহাজনের কাছ থেকে ঋণ এনে সংসার চালিয়েছেন তাঁরা। এখন নদীতে আশানুরূপ মাছ ধরা পড়লে স্বস্তি পাবেন।
কমলনগর উপজেলার চর মার্টিন গ্রামের জেলে জাকির। নিজের এবং এনজিও থেকে নেওয়া ঋণসহ মোট ২ লাখ টাকায় তৈরি করেছেন মাছ ধরার নৌকা ও জাল। দুই মাসের অভিযানে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বেড়েছে ঋণের বোঝা। তাঁর আশা নদীতে মাছ শিকার করে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে পারবেন এবার।
লক্ষ্মীপুরের মতিরহাট এলাকার জেলে আতরের জামান ও হেলাল উদ্দিন জানান, প্রতি বছর নদীতে অভিযান চলে। অভিযান চলাকালীন পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে দিনাতিপাত করতে হয় তাঁদের। নৌকা, জালসহ অন্যান্য কাজ সেরে নিয়েছেন তাঁরা। এবার বড় ইলিশ পেলে ধারদেনা পুষিয়ে নিতে পারবেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, খাদ্য সহায়তা ছাড়াও বিকল্প কর্মসংস্থানের আওতায় জেলার দুই শতাধিক জেলেকে দেওয়া হয়েছে বাছুর এবং ২০টি জেলে সমিতিকে ১০ লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়া হয়েছে। এখান থেকে সমিতির সদস্যরা স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা পাবেন। সমিতির মাধ্যমে শতাধিক ইলিশ ধরার জাল বিতরণের পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁদের।
0Share