লক্ষ্মীপুরের রামগতির মাছ ধরার ট্রলার ঘাটে নোঙর করার সময় সুকানের আঘাতে খালে পড়ে স্রোতে তলিয়ে যায় জুলফিকার আলী ভূট্টো (৩৫) নামে এক যুবক। দুইদিন পর মেঘনা নদীর একটি চরে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।
নৌ-পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে রোববার দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।এরআগে সকালে রামগতির মেঘনা নদীর চর লক্ষ্মী থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
গত শুক্রবার (২ জুন) দুপুরে রামগতির মেঘনা নদীর ব্রীজঘাটে পড়ে নিখোঁজ হয় জুলফিকার। সে জেলার কমলনগর উপজেলার পাটওয়ারীর হাট ইউনিয়নের চর ফলকন গ্রামের মৃত মাখফুজুল হকের ছেলে। মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে নিয়োজিত আল্লাহ মালিক নামে একটি ট্রলারের ইঞ্জিন মেস্তুরি ছিল জুলফিকার।
রামগতি বড়খেরী নৌ-পুলিশের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফেরদৌস আহম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত শুক্রবার দুপুরে মেঘনা নদী সংলগ্ন ব্রীজঘাটের একটি খালে আল্লাহ মালিক নামক মাছ ধরার ট্রলারটি নোঙর করে। এ সময় ট্রলারের সুকান ছিঁড়ে পড়ে ইঞ্জিন মেস্তুরি জুলফিকার আলী ভূট্টোর মাথায় আঘাত লাগে। এতে সে খালে পড়ে যায়। তীব্র স্রোত থাকায় খালের পানিতে তলিয়ে যান তিনি। নৌ-পুলিশ এবং স্থানীয় লোকজন তার তল্লাশি চালালেও তাকে উদ্ধার করা যায়নি। রোববার (৪ জুন) সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে ঘটনাস্থলের অদূরে চরলক্ষ্মী মেঘনা নদীতে তার মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে সেটি উদ্ধার করা হয় এবং তার পরিবারকে খবর দিলে মৃতদেহ শনাক্ত করে। পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় মৃতদেহটি ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার স্ত্রী কমলা বেগমের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
32Share