লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন দীর্ঘ ১৯ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরআগে সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০০৩ সালে। উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ওই সম্মেলন গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার আ স ম আব্দুর রব সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী এবং ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিদ রায় নন্দি।
রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ মুরাদের সভাপতিত্বে উক্ত সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিয়া মো. গোলাম ফারুক পিংকু। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন, লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন।
এসময় বিশেষ বক্তা ছিলেন, লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এম আলা উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহিম, লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এম মেজবাহ উদ্দিন।
সম্মেলনের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ তার বক্তব্যে বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বিএনপি দেশের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধে দন্ডিত নেতাদের সংগঠন বিএনপি এখন দেউলিয়া দলে পরিণত হয়েছে। যে কারণে, রাষ্ট্রক্ষতায় যেতে তাঁরা আবারও সন্ত্রাসী পথ বেছে নিয়েছে। কিন্তু এসব করে তাঁরা কখনও জনগণের মন জয় করতে পারবে না। তিনি বলেন, সন্ত্রাসী ও মৌলবাদের দল বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় গিয়ে আওয়ামী লীগের ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। হাওয়া ভবন তৈরি করে দেশকে অনিয়ম ও দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য বানিয়েছিল। আর এমন কর্মকান্ডের কারণেই ২০০৮ সালে জনগণ তাঁদেরকে প্রত্যাখান করে।
সম্মেলনে রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে আবদুল ওয়াহেদ মুরাদ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ নির্বাচিত হন।
উল্লেখ্য: বেশ কয়েকবার ঘোষণা করা হয়েছিল সম্মেলনের তারিখ কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা আর হয়নি। সম্প্রতি আবারও এ শাখাটির সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগ। দীর্ঘ ১৯ বছর পর এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়ায় দলটির নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে প্রাণচাঞ্চল্য।
মিসু সাহা নিক্কন/10/22
323Share