লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাতে বোতল, লোহা, টিন, পেপার কুড়িয়ে সংসারের খরচ জোগাতে ব্যস্ত সময় পার করছে যুবক লিটন ও তাঁর সহযোগী চার কিশোরের। সারা দিনে যা উপার্জন করে, তা দিয়ে আবার রাতে বাজার করে ঘরে ফেরে তাঁরা।
মো. লিটন উদ্দিন (২৫) মাইক দিয়ে ভ্যান চালিয়ে হকারি করে সারা দিনে আয় করে ২৫০-৩০০ টাকা। তাঁর সহযোগীরা প্রতিদিন একেকজন ১৫০ থেকে ২০০ টাকা আয় করে। প্রতিদিনের শুরুটা মো. লিটন ও তাঁর সহযোগী মো. রোবেলকে নিয়ে এবং অন্য তিনজন কিশোর একসঙ্গেই ভ্যান দিয়ে কুড়াবে ভাঙারী। উপজেলার পথে পথে, অলিতে–গলিতে টোকাইদের মতো তাদের অবাধে বিচরণ চলতে থাকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ এলাকায় মো. লিটন ও তাঁর সহযোগী একটি ভ্যান নিয়ে রাস্তা থেকে বোতল, টিনের টুকরো, পেপার সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে। তাঁরা সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হকারি করে। তাঁরা অনেক সময় রাস্তার পাশের বাড়ি বাসা থেকেও পুরোনো ভাঙা টিনের কৌটা, টুকরা সংগ্রহ করে। সারা দিনে তাদের দুটি ভ্যানে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ কেজি পুরোনো টিনের টুকরা, লোহা, পেপার সংগ্রহ করে।
এ নিয়ে মো. লিটন উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে সে জানায়, নদীতে আমাগো ঘর বাড়ি শেষ এখন পরের জায়গায় থাকি। আগে সেবাগ্রামে তাঁদের বাড়ি ছিলো বর্তমানে নুরীয়া হাজীর হাটে থাকি। আমার দুই ছেলে নিয়ে আমাগো চার জনের অভাবের সংসার। কোন মতে ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে আছি।সারা দিন মাইক দিয়ে হকারি করে যা পাই, তা আবার দিন শেষে পাইকারি দরে বিক্রি করে চলে সংসার। প্লাস্টিকের বোতল ১০ টাকায় কিনে ১৫ টাকা, প্লাস্টিক ১০ টাকায় কিনে ১৬ টাকা, লোহা ৩০ টাকায় কিনে ৩৫ টাকা, টিন ১৮ টাকায় কিনে ২৫ টাকায় বিক্রি করছি।
এদিকে লিটনের সহযোগী মো. রোবেল জানায়, আমি আগে স্কুলে পড়তাম, এখন পড়ি না। অভাবের সংসার তাই সংসারের খরচ জোগাতে উস্তাদের সঙ্গে হকারি করি। দিনে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পাই। তা দিয়ে কোনো মতে চলে সংসারের খরচ ।
0Share