কিশোর কুমার দত্ত: শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথেই বেড়ে চলছে পাখির কলকাকলি। এটা দেশের অন্য কোন অঞ্চল নয় । লক্ষ্মীপুর সদর, কমলনগর এবং রামগতি উপজেলার বেশ কয়েকটি মুক্তজলাশয়ের চিত্র। আদর করে আমরা সেগুলোকে বলি অতিথি পাখি। নাম অতিথি হলেও মেঘনা নদীর বুকে জেগে উঠা বিভিন্ন চরে এই পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে এসে হাজির হয় নিজেদের জীবন বাঁচাতে। তবে অতিথি পাখির আগমনকে লক্ষ্য রেখে তৎপর বেড়ে যায় রাক্ষুসে শিকারীদের।
মেঘনা বুকে জেগে উঠা চর পাতারচর, বয়ারচর, চরমেঘা, তেলিরচরে আসছে এসব পাখি। সাদা বক, বালি হাঁস, পানকৌড়ি উল্লেখ্য যোগ্য। মেঘনা পাড়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, বিগত দশ বছরের আগের তুলনায় বর্তমানে পাখি আসার সংখ্যা কমে গেছে। আগে শীত মৌসুমে যে পাখি আসতো বর্তমানে তার চেয়ে অনেক কম আসে লক্ষ্মীপুরের জলাশয়গুলোতে। মৎস্য শিকারীদের অবাধ যাতায়াতের কারনে এসকল পাখিও চরম ঝূঁকিতে রয়েছে।
সদর উপজেলার মজুচৌরীরহাট এলাকায় রহমত খালী নদীর কাছে বসবাসরত বৃদ্ধ আব্দুল মুন্সী বলেন, ‘এখন পাখি আসা কমে গেছে অনেক। তার পরও শীত মৌসুমে শত শত পাখি আসে। মাঝে মধ্যে শিকারীদের দেখা গেলেও এলাকাবাসীর জন্য তারা শিকার করতে পারে না। এই এলাকার লোকজন এই পাখিগুলোকে আপনজনের মতো মনে করে।’
বয়ারচরের কৃষক শাহাআলম বলেন, শিকারী না থাকলেও যারা মাছ ধরে তারা মাঝে মাঝেই পাখি ধরে খায়। তেলিরচরের সিরাজ মাঝি বলেন, প্রতি বছর শীতেই তেলিরচরে হাজার হাজার অতিথি পাখি আসে। তবে এবার এসেছে আরো বেশি। নদীর পাড়ে ওরা থাকে। কাউকে বিরক্ত করে না।
0Share