লক্ষ্মীপুরের রামগতি-বিবির সড়কের বেহাল অবস্থা, চলাচল দুর্ভোগে স্থানীয়রা। দীর্ঘদিন সড়কগুলোর সংস্কার না হওয়া এবং সম্প্রতি মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানির তোড়ে রামগতি উপজেলার পাকা এবং কাঁচা সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এছাড়াও কয়েকটি ব্রিজ-কালভার্ট বিধ্বস্ত হয়।
রামগতি-আলেকজান্ডার সড়কের মালি বাড়ি সংলগ্ন ব্রীজটির দু-পার্শ্বের মাটি ধ্বসে সড়ক থেকে ব্রীজটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়, ফলে রামগতি-বিবির হাটের মধ্যে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিছিন্ন হয়ে যায়। এতে করে ব্রীজটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
ভেঙ্গে যাওয়ার কয়েক সপ্তাহ অতিবাহিত হবার পরেও আজও এর পুনঃস্থাপনের কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি। এই জনগুরুত্বপূর্ণ কালভার্টটি ভাঙ্গার কারণে কয়েক হাজার লোক চরম দূর্ভোগে যাতায়াত করছে। ফলে ওই স্থান দিয়ে যাতায়ত করতে গিয়ে প্রায়ই রামগতিবাসীকে দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। কালভার্টটির দুই পাশে ভেঙ্গে যাওয়ায় কোন ধরনের যান চলাচল করতে পারে না। ফলে অতিরিক্ত প্রায় ১২ কি.মি পথ ঘুরে বিকল্প রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে পথচারী, রিকশা-অটোরিকশা চালকসহ স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভেঙে যাওয়ার পরেও এর পুনঃস্থাপনের কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি। কালভার্টটি দিয়ে প্রতিদিন শিশু, মহিলা, বৃদ্ধ, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও রোগী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। শুধুমাত্র সাইকেল, মোটর সাইকেল দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে পারলেও সিএনজি, আটোরিক্সা, পন্যবাহী ট্রাক, কাভার ভ্যানসহ কোন ধরনের যান এ ব্রীজটি দিয়ে চলাচল করতে পারছে না। ফলে, ছোট্ট এ কালভার্টির জন্য যেন ভোগান্তির শেষ নেই।
কলেজ শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন মুন্না জানান, প্রতিদিন রামগতি বাজারে যেতে এ ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টটি দিয়ে পারাপার হতে হয়। এছাড়াও উপজেলার সদর আলেকজান্ডার যেতে হলেও এ পথ দিয়েই যেতে হয়। বর্তমানে এ কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ায় এ পথে সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এখন পারাপার হতে হলে তক্তাই আমাদের ভরসা।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর- এলজিইডির রামগতি উপজেলা কার্যালয়ের প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে দ্রুত কালভার্টটির সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম শান্তুনু চৌধুরী বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থ ব্রিজ-কালভাট ও সড়কগুলো দ্রুত সংস্কার করতে বলা হয়েছে।
মিসু সাহা নিক্কন ০৮-২২
211Share