ঘরের বাইরে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হলেও লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় অঞ্চল রামগতির অধিকাংশ মানুষই তা মানছেন না। দিন যত যাচ্ছে, লোকজন ততই মাস্ক ব্যবহারে উদাসীন হচ্ছেন। মাস্ক ছাড়া বাইরে না যেতে সরকারের পক্ষ থেকে গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়াসহ নানা মাধ্যমে প্রচার চালানো হলেও তাতে কাজ হচ্ছে না।
সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। উপকূলের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, শতকরা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ লোকই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। পরিবহনের শ্রমিক ও যাত্রী, হাটবাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী, ধর্মীয় উপাসনালয়ে আগত ব্যক্তি, পথচারীদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারে উদাসীনতা দেখা গেছে। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন মাছ ঘাটে জেলে, দাদন ব্যবসায়ী করছেন না মাস্কের ব্যবহার।
রিকশাচালক জসিম উদ্দিন বলেন, রিকশা চালাতে বেশি বেশি শ্বাস টানতে হয়। মাস্ক পরলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। গরমও বেশি লাগে।’ রিকশার হাতলে চালকের মাস্ক লাগানো আছে প্রয়োজনে ব্যবহার করি।
সিএনসি চালক সোহেলের মুখে মাস্ক নেই। জানতে চাইলে সোহেল পকেট থেকে মাস্ক বের করলেন। তিনি বলেন, ‘মাস্ক সঙ্গেই থাকে। ৮-১০ ঘণ্টা গাড়ি চালাই, সব সময় লাগায় রাখতে পারি না।’
এদিকে মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে মাঠে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন, জরিমানা আদায় হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেলে মরিয়া হয়ে মাস্ক ব্যবহার করে। কিন্তু পরক্ষণে আবার অনীহা, এযেন চোর-পুলিশ খেলা।
গতকাল সন্ধ্যার পরে উপজেলা পরিষদের সামনে দেখা যায়, বেশ কিছু তরুণ চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছেন। তাঁদের কারও মুখেই মাস্ক নেই। আর দুজনের মাস্ক থুতনিতে নামানো। কথা বলে জানা গেল, তাঁরা সবাই বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। হোটেল ও রেস্তোরাঁয় কর্মরত ব্যক্তিদের মাস্ক পরা বাধ্যতমূলক হলেও তাঁরা এ ব্যাপারে উদাসীন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম শান্তুনু চৌধুরী বলেন, সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্কের ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। প্রতিনিয়ত এ বিষয়ে সতর্ক ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
100Share