ঢাকা : দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদভিত্তিক নিউজ চ্যানেল এটিএন নিউজে উঠে এলো উপকূল সাংবাদিকতার নানান দিক। ৮ মে ২০১৬ রবিবার দিবাগত রাতে ওই চ্যানেলের ‘‘ইয়াং নাইট’’ অনুষ্ঠানে আলোচনার বিষয় ছিল ‘‘উপকূল সাংবাদিকতা।’’ আর এই আলোচনায় অংশ নেন এখন পর্যন্ত দেশের একমাত্র পূর্নাঙ্গ উপকূল সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মন্টু। তিনি ছাড়া দেশের সমগ্র উপকূল নিয়ে এখনও এভাবে কেউ কাজ শুরু করেনি।
উপকূল নিয়ে ব্যতিক্রমী ধারার সাংবাদিকতা নিয়ে এই অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন মিডিয়া এক্সপার্ট হাসান বেনাউল ইসলাম। সহযোগী আলোচক হিসাবে স্কাইপিতে অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের মেঘনাতীরের চরফলকন ইউনিয়নের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান এএনএম আশরাফ উদ্দিন। ১টা ২০ মিনিটে শুরু হওয়া ওই অনুষ্ঠানটি শেষ হয় রাত ১টা ৫৫ মিনিটে।
অনুষ্ঠানের আলোচনায় উপকূলীয় সাংবাদিকতার ইস্যু, সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। রফিকুল ইসলাম মন্টু তার আলোচনায় ঝুঁকিতে থাকা উপকূলের ১৬টি জেলার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। প্রকৃতপক্ষে সমস্যাগ্রস্থ মানুষের চিত্র তুলে আনতে মাঠ সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরির ওপর জোর দেন তিনি। তবে এজন্য গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর অগ্রণী ভূমিকা রাখা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
স্থানীয় সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পেশাদারিত্ব নিয়ে কাজে নামতে হবে। মনে করতে হবে আমি একটা সেবার জন্যে এই পেশায় আছি। ভাবতে হবে, অামার প্রতিবেদন কিছু মানুষের জীবনে কল্যাণ বয়ে আনতে পারে। আমার কলমে কারও উপকার না হলেও যেন কারও ক্ষতি না হয়। প্রান্তিক জনপদের মানুষের কণ্ঠস্বর তুলে অানতে হলে তাদের কাছে যেতে হবে। আর প্রান্তিকের মানুষের কণ্ঠস্বর তুলে আনতে না পারলে তাদের অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব নয়।
সহযোগী আলোচক এএনএম আশরাফ উদ্দিন বলেন, অবাধ তথ্য প্রবাহ মানুষের জীবনধারা কতটা বদলে দিতে পারে, সেটা আমরা মাঠে বসেই অনুধাবন করতে পারি। রফিকুল ইসলাম মন্টু যেভাবে ব্যতিক্রমী ধারার উপকূল সাংবাদিকতা করছেন, সেটাকে উন্নয়নেরই অংশ বলা যেতে পারে। তার এই কাজে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের মাঝে কাজের অনুপ্রেরণা সুষ্টি হচ্ছে। নতুন বিষয়ে লেখার বিষয়ে তারা উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। একইসঙ্গে উপকূলের বহু স্কুল পড়ুয়া লেখালেখির মাধ্যমে তাদের ভাবনায় পরিবর্তন আনতে পারছে।
উপস্থাপক হাসান বেনাউল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলের খবরের যেসব উপাদান রয়েছে, তার অনেককিছু আমরা এখনও জানি না। সেইসব অজানা তথ্য কেন্দ্রীয় গণমাধ্যমে তুলে আনাটা খুবই জরুরি। ইতিবাচক, নেতিবাচক অনেক খবরই রয়েছে প্রান্তিক জনপদে। সেইসব খবর দিয়ে আমরাও বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিতে পারি। তবে সেজন্য সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিতে হবে। গণমাধ্যমকে আরও সজাগ হতে হবে।
0Share