নিজস্ব প্রতিনিধি: কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নে দুই কিশোরী বোনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে রাতভর গণধর্ষণ করা হয়েছে। শুক্রবার (০১এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে দুই বোনকে ধর্ষণের ঘটনায় কমলনগর থানায় পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। এর আগে ২৯মার্চ মঙ্গলবার রাতে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ইসলামগঞ্জ বাজারের পাশে একটি ছাড়া বাড়িতে (পরিত্যাক্ত বাড়িতে) দুই বোন গণধর্ষণের শিকার হন।

দুই বোন ধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামী হলেন- কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত ই¯্রাফিলের ছেলে মো. খোকন, একই এলাকার মৃত সোলেমানের ছেলে মো. সিরাজ। অন্য আসাসীরা হলেন ওই এলাকার ইসামাইল হোসেনের ছেলে মো. ইউছুফ ও মৃত হোসেন আহাম্মদের ছেলে মো. আবদুল করিম। মামলায় অজ্ঞাত আরও এক আসামী রয়েছে।

ধর্ষিত বড় বোন জানায়, একই গ্রামের পাশ্ববর্তী মো. খোকন তাকে পছন্দ করতো। ২৯ মার্চ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে খোকন তার বাড়িতে আসে। রাতে আধাঁরে তাকে ঘর থেকে বের হতে বলে। সে একা একা ঘর থেকে বের হবে না বললে; ছোট বোনকে সঙ্গে আনতে বলে। দুই বোন ঘর থেকে উঠানে আসলে ৪/৫ মিলে তাদের মুখ বেধে একটি ছাড়া বাড়িতে (পরিত্যাক্ত বাড়িতে) তুলে নিয়ে যায়। ওই বাড়ির পুকুর পাড়ে রেখে রাতভর জোরপুর্বক তাদের ধর্ষণ করে।

ধর্ষিত ছোট বোন জানায় খোকনের চাচাতো ভাই সিরাজ আমার গলায় ধারালো ছুরি ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষক খোকন ও সিরাজের বন্ধু ইউছুফ এবং আবদুল করিমও আমাদের ওপর অত্যাচর করেছে।

ধর্ষিতাদের বিধবা মা জানান, রাতে আমি ঘুমে ছিলাম। লম্পট খোকন, সিরাজসহ কয়েকজন মিলে আমার দুই মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। সকালে স্থানীয়দের সহযোগীতায় একটি কলাবাগান থেকে তাদের অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করি। বিষয়টি স্থানীয় নব নির্বাচিত মেম্বার আবদুর রহিম দুলাল মাঝিকে জানালে তিনি মিমাংশা করবেন বলে আশ্বাস দেন; মামলা না করেতে বলেন। অবশেষে আমি বিচার না পেয়ে পুলিশে অভিযোগ করি।

ধর্ষিতাদের ভাইসহ স্থানীয়রা জানায়, অভিযুক্তরা নব নির্বাচিত ইউপি মেম্বার আবদুর রহিম দুলাল মাঝির চাচাতো ভাই ও নিকট আতœীয়। যে কারণে মিমাংসার নামে সময়ক্ষেপন করে ধর্ষণের আলামত নষ্ট করেত অপচেষ্টা করা হয়েছে।

নব নির্বাচিত ইউপি মেম্বার আবদুর রহিম দুলাল মাঝি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। আমি ধর্ষিতাদের উপকার করতে চেষ্টা করেছি; ক্ষতি নয়।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির আহাম্মদ বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে দুই বোন ধর্ষিত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদেরকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে; জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।