চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল: প্রথম খবর দশ (১০) টাকায় চাল পাচ্ছে ৫০ লাখ দরিদ্র পরিবার। দ্বিতীয় খবর পাকিস্তানে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে যাচ্ছেনা প্রধানমন্ত্রী। এই দুইটি লেখা যদি এতটুকতেই শেষ হয় তাহলে হয়তো আমরা ভাবতে পারি; অতীরের শাষনকর্তা শায়েস্তা খাঁ বা আকবরদের মত কোন রাজা মহারাজার সময়কার কাহানি। আর যদি বর্তমান হয় তাহলে খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ কোন দেশের খবর!!!
কিন্তু প্রথম খবরটি অতীতের কোন রাজা কিংবা বর্তমানে কোন খনিজ সমৃদ্ধ দেশের খবর না। এই খবর বাংলাদেশের যার বাস্তবিক রুপ দিয়েছেন বাংলার মহিষী নারী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা। তার দেশপ্রেম ও মেধাবী নেতৃত্বগুনের কারনে বাংলাদেশে ৫০ লাখের মত দরিদ্র পরিবার পাবে চাউল প্রতিকেজি মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে। যার ফলে দরিদ্র পরিবারে ভাতের অভাব নিবারণ হবে, বেঁচে যাবে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় এবং কমে যাবে সামাজিক ক্রাইম। বাস্তবিক অর্থেই দরিদ্রই মানুষকে অপরাধী হতে শিক্ষায়। এর ফলে আগামী দিনগুলিতে বাংলাদেশ থেকে ক্রমান্বয়ে ক্রমে যাবে দারিদ্র এবং অর্থনৈতিক ভাবে হয়ে উঠবে সচ্ছল ও আর্তনির্ভরশীল।
দ্বিতীয় খবর হচ্ছে, বিশ্বের চোখে পাকিস্তান যথেষ্ট শক্তিশালী একটি দেশ। এই বার সেই দেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সার্ক সম্মেলন আর বাংলাদেশ সার্ক ভুক্ত হওয়া শর্তেও সম্মেলনে যাবেন না বলে ঘোষনা দিয়েছেন বাংলার সাহসী নারী বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা। যা একজন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেব প্রিয় নেত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ কারন এই পাকিস্তান বাঙ্গালীদের কলঙ্ক যুদ্ধপরাধীদের বিচারে রাষ্ট্রীয় ভাবে বাধা প্রদান করেছে,নিন্দা প্রস্তাব তুলেছে তাদের পার্লামেন্টে। এমনকি আদালতের রায়ে মৃত্যদন্ডের হওয়ার পরেও ঐ কলঙ্কীতদের বীর উপাধি দিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য দিয়েছে রাষ্ট্রীয় নেতারা। যা ছিল বাঙ্গালী জাতির প্রতি চরম অসম্মান । আর ৭১ এর কথা বাদই রাখলাম। তাইতো আমরা গর্ব করে বলি,প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ/নিরাপদ বাংলাদেশ।
জয়তু শেখ হাসিনা।।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, লক্ষ্মীপুর জেলা শাখা।
0Share