নিজস্ব প্রতিবেদক: ২রা মার্চ স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আজ বিকেল ৩টায় ২রা মার্চ উদযাপন পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় স্মৃতিচারণমূলক বক্তৃতায় স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক আসম আবদুর রব বলেন, ব্রিটিশ উপনিবেশিক শক্তির সরাসরি বিরোধীতায় গত ২শ বছরে বিপ্লবী ধারার ভিত্তিতে দেশজ উপাদান সংযুক্ত করে জনগণের অংশিদারিত্ব দিয়ে দ্বিতীয় ধারায় গণমুখী রাজনীতির মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জাতীয় পার্টি-জামায়াতের রাজনীতির একই ধারা-যা যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চর্চা করে, উপনিবেশিক শাসন বা আইন দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতা উপযোগী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রবর্তন করা সম্ভব হবে না।
জনাব রব বলেন, দ্বিতীয় ধারার রাজনীতির ধারাবাহিকতায় নিউক্লিয়াস-বিএলএফ গড়ে উঠে এবং সর্বশেষ সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ ‘জাতি-রাষ্ট্র’ অর্জিত হয়। ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সকল আন্দোলন সংগ্রামের পরিকল্পনাকারী ছিলো নিউক্লিয়াস। ২রা মার্চ-৩রা মার্চ-৭ মার্চ ছিলো ইতিহাসের ধারাবাহিকতা-ইতিহাসের ন্যায্যতা যা বিনষ্ট করা যায় না।
২রা মার্চ পতাকা উত্তোলন উদ্যাপন পরিষদ এর আহ্বায়ক গীতিকবি শহীদল্লাহ ফরায়জী’র সভাপতিত্বে, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ এর সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এর সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম, জেএসডি সাধারন সম্পাদক জনাব আবদুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এস এম আকরাম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারন সম্পাদক জনাব সাইফুল হক, মাওলানা এ.টি.এম হেমায়েত উদ্দিন, শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।
জেএসডি সাধারন সম্পাদক জনাব আবদুল মালেক রতন বলেন, সিরাজুল আলম খানের অবদান, তার সৃষ্ট স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াস , বি এল এফ এর ভুমিকা , ২রা মার্চ স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন ও ৩রা মার্চ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠসহ ইতিহাসের উলেখযোগ্য ব্যক্তি ও ঘটনাসমুহকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি না দেয়া এক দিকে যেমন ইতিহাসের বিকৃতি অন্যদিকে তা স্বাধীনতার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার অপচেষ্টার সামিল। এর দ্বারা প্রমানিত হয় বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানীরা চাপিয়ে দেয়ার আগে স্বাধীনতা চাননি। ‘৭১ এর ১৭ই এপ্রিল প্রবাসী সরকার শপথ নেয়ার আগে আওয়ামী লীগ কোনদিন স্বাধীনতার পক্ষে প্রস্তাব গ্রহন করেনি। ৬২ সাল থেকে নিউক্লিয়াস ও পরবর্তীতে গঠিত বি এল এফ স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেছে। নিউক্লিয়াস ও বিএলএফ এর পরিকল্পনার ফসলই হলো স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন, ইশতেহার পাঠ । এ সব কিছুর সাথে বঙ্গবন্ধুর সংশ্লিষ্টতাই প্রমান করে তিনি ৬০ এর দশক থেকেই স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন।
জনাব মালেক রতন বলেন, ১/১১ কে নিয়ে বেশী ঘাটাঘাটি করলে কেঁচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে পড়বে। অতএব তা না করে ১/১১ সৃষ্টির মতো রাজনৈতিক পরিস্থিতি যাতে দেশে সৃষ্টি না হয় তার জন্য সরকার সহ সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে সতর্ক থাকতে হবে।
সভার শুরুতে আ স ম আবদুর রব নব প্রজন্মের হাতে ২রা মার্চে উত্তোলিত স্বাধীনতার পতাকা হস্তান্তর করেন। এর পর জনাব রবকে জেএসডি সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মাল্যভুষিত করা হয়।
0Share