খান আল আমিন: নোয়াখালী বিভাগ সম্পর্কে কিছু ভুল ধারনা ও সঠিক উত্তর। অনেকেই প্রোফাইল পিকচারের অর্থাৎ নোয়াখালী জেলার মানচিত্র দেখে বলে এত ছোট অঞ্চল বিভাগ কি করে হয়? মুলত তিন নং চিত্রে বিভাগীয় মানচিত্র হাইলাইট করা হল যা বর্তমান ঢাকা এবং চট্টগ্রাম ছাড়া বাকি বিভাগুলোর চেয়ে আয়তনে বড় কিংবা অন্তত ছোট নয়। নোয়াখালী বিভাগ হলে নোয়াখালী জেলা জেলাই থাকবে। কিন্তু ফেনী, লক্ষ্মীপুর , নোয়াখালী, এর আশপাশের জেলা নিয়ে নোয়াখালী বিভাগ সৃষ্টি হবে।
নোয়াখালী জেলা হলে শুধু নোয়াখালীবাসীরই যে লাভ বা নোয়াখালীর উন্নয়ন হবে তা নয়। তার প্রভাব পড়বে সারা দেশের ওপর। দেখুন, ঢাকা, চট্রগ্রাম এই দুই বিভাগ বাংলাদেশের বৃহত্তম বিভাগ রাজধানী ও বন্দরনগরী । যার ফলে পুরো বিভাগের মানুষ ওই ঢাকায় ও চট্রগ্রাম জেলায় ঘিঞ্চি করে উপচে পড়ছে। যদি নোয়াখালী বিভাগ হয়, তবে বিশেষ করে ঢাকায় ও চট্রগ্রামে জনগণের চাপ কমবে, যার ফলে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে বৃহত্তর নোয়াখালী বিভাগে, ঢাকা বিভাগে এবং বৃহত্তম বিভাগ ও বিকল্প রাজধানী চট্টগ্রামের গুরুত্ব বৃদ্ধির ওপর।
অনেকেই আবার বলেন ছোট্ট এই দেশটাকে এত খন্ড বিখন্ড করার কি দরকার? উত্তর হল, ভারতকে অযথাই ত্রিশটি প্রদেশে ভাগ করা হয় নি। প্রশাসনের সুবিধার্থে দায়িত্ব ও অঞ্চল ৩০ ভাগে সুবন্টন করা হয়েছে। আর একটা জিনিস কি জানেন? রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহের অনেক আগে থেকেই নোয়াখালী বিভাগ হবার প্রয়োজন ছিলো এবং দাবীও উঠে এসেছে। নোয়াখালী বাংলাদেশ অঞ্চলের সবচেয়ে পুরোনো জেলা।এক সময় ফেনী, লক্ষ্মীপুর ভারতের ত্রিপুরা, শাহবাজ সহ মোট ১৪ টি জেলা নিয়ে ছিলো ততকালিন ভুলুয়া পরগনা যার নাম এখন নোয়াখালী । আর নোয়াখালীর ইতিহাস ঐতিহ্য দয়াকরে উইকিপিডিয়া থেকে জেনে নিবেন। নোয়াখালীর জেলার জনসংখ্যাই নোয়াখালী বিভাগ হবার প্রয়োজনীয়তা বলে দেয়।
নোয়াখালী জেলায় স্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যা ৪৫ লক্ষের বেশী । অস্থায়ী বাসিন্দা রয়েছে অন্তত আরো দিগুণ কিংবা আরো বেশি। এবং জনসংখ্যাই বিভাগ হবার মূল ভিত্তি। এবার আপনিই বলুন, নোয়াখালী বিভাগ হবার প্রয়োজন আছে কি?
যে যেখানে আছি ভাই, নোয়াখালী বিভাগ চাই।
0Share