জাকির হোসেন পাটোয়ারী,রামগঞ্জ: রামগঞ্জ উপজেলার পান্য়িালা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কক্ষ সংকটের কারনে শৈত্য প্রবাহের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান করানো হচ্ছে। এতে বিদ্যালয়ের ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান,স্বাধীনতার পুর্বে স্থানীয় কয়েকজন শিক্ষানুরাগীদের সার্বিক সহযোগীতায় পানিয়ালা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশ স্বাধীনতা লাভ করার পর শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে শিক্ষা অধিদপ্তর ২ কক্ষ বিশিষ্ট ২টি ভবন এবং ৩ কক্ষ বিশিষ্ট ১টি ভবন নির্মামিত হয়। ১৯৯৪-৯৫ অর্থ বছরে ৩ কক্ষ বিশিষ্ট র্নিমিত ভবনটি ১৮ বছর অতিবাহিত না হতেই উপজেলা প্রশাসন ২০১৩ সালে পরিত্যক্ত ঘোষনা করেন। এতে বিদ্যালয়টি শ্রেনী কক্ষের সংকটে পড়ে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জয়ন্তী রানী চক্রবর্তী বলেন,৩ কক্ষের ভবনটির কয়েকটি স্থান ঘষে পড়লে ২০১৩ সালে উপজেলা নিবার্হী অফিসার,প্রকৌশলী ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সরেজমিনে পরিদর্শন করে পরিত্যক্ত ঘোষনা করেন। শ্রেনী কক্ষ সংকটের কারনে দুই সিপ্টে শিশুদের পাঠদান করাতে হচ্ছে।এতে শ্রেনী কক্ষ স্বল্পতার কারনে শিক্ষার্থীরা লেখা পড়া মারাত্বক ক্ষতি হয়।। নতুন বছরে নতুন বই নিয়ে আনন্দ উৎসবে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে শ্রেনী কক্ষে পাঠদানের কোন পরিবেশ না থাকায় খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করাচ্ছি।
বিদ্যালয় সভাপতি হাজী হোসেন আহম্দে বলেন,পরিত্যক্ত ভবনটি ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মান করতে আমরা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কয়েকটি আবেদন করেছি। কিন্তু আশানুরুপ কোন সাড়া পাচ্ছি না।
সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন,অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নতুন ভবন নির্মান করতে আমরা শিক্ষা প্রকৌশলী ও শিক্ষা অধিদপ্তরে ২০১৩ সাল থেকে একাধিক বার লিখিত আবেদন করেছি। কবে ভবনটি নির্মান হবে তা আলাহপাক ভালো বলতে পারবে।
0Share