তাবারক হোসেন আজাদ: রায়পুরে দূরের যাত্রীরা যেন নিদিষ্ট স্থান থেকে উঠা-নামার জন্য যাত্রী ছাউনিগুলো নির্মাণ হলেও এখন কোন কাজে আসছেনা । প্রায় ১২ বছর আগে স্থানীয় পৌরসভা ও জেলা পরিষদ প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে ৩ স্থানে ৩টি যাত্রী ছাউনী নির্মাণ করেন। এখন যাত্রীছাউনীগুলো স্থানীয় দোকানদার ও মাদক সেবিদের আড্ডা খানায় পরিনত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার অভিযোগ গেলেও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
যাত্রী ছাউনীগুলো হলো- রায়পুর-লক্ষ্মীপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে রায়পুর বাসটার্মিনাল এলাকায় ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দ্বিতলা ভবন, বাসবাড়ি বাজার এলাকায় প্রায় ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ও রাখালিয়া অটো রিক্সাটার্মিনাল প্রায় ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) কয়েকজন চালক ও যাত্রীরা জানান, রায়পুরে ১০টি বাস কাউন্টার রয়েছে। প্রায় ৫ হাজার যাত্রী এ কাউন্টারগুলো থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছে। সরকার প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে জনসাধারনের সুবিধার্থে তিন জায়গায় তিনটি যাত্রীছাউনী নির্মান করেছেন।
কিন্তু বখাটে আর মাদকসেবী ও স্থানীয় দোকানদারদের কারনে যাত্রীরা যাত্রীছাউনীতে না দাঁড়িয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে থেকে গাড়ি উঠা-নামা করে। প্রায় ৭-৮ বছর আগে ৮-৯ লাখ টাকা ব্যয়ে রাখালিয়া ও বাসাবাড়ি বাজারে ২টি যাত্রী ছাউনি নির্মান করেন লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ। এর পাশাপাশি তারা অধিক লাভের জন্য স্থানীয়দের কাছ থেকে দোকান দেওয়া বাবদ ১ হাজার টাকা করে ভাড়া আদায় করছেন। কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার অভিযোগ দিলেও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না ।
মাইনুদ্দিন নামে একজন বাস চালক জানান, যাত্রীদেরকে রাস্তার পাশ থেকে গাড়িতে উঠাতে হয়। যে কারনে যাত্রী ছাউনী করা হয়েছে সেটি কোন কাজেই আসে না। একাধিকবার কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বললেও তারা কোন কথা শুনে না।
এ ব্যাপারে রায়পুর বাস টার্মিনাল, রাখালিয়া ও বাসাবাড়ি বাজারের যাত্রীছাউনীগুলোর দখলকৃত দোকানদারগন কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে পৌরসভা ও জেলা পরিষদ থেকে বক্তব্য নিতে বলে তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
বাসচালক মালিক সমিতিরি সভাপতি ও আ’লীগ নেতা মোঃ শাহাজাহান যাত্রীছাউনীগুলোতে দোকানী, বখাটে ও মাদকসেবীদের আড্ডা স্বীকার করে বলেন, প্রশাসনকে এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাবো।
রায়পুর পৌরসভার মেয়র এবিএম জিলানী বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সুবিধার লক্ষ্যে যাত্রীছাউনী গুলো নির্মাণ করা হয়। অভিযোগ আসলে পুলিশের মাধ্যমেম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক আলহাজ্ব শামছুল ইসলাম বলেন,রায়পুর সহ জেলার ৫ উপজেলায় নির্মিত যাত্রীছাউনীগুলোর বেপারী খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন।
0Share