নিজস্ব প্রতিনিধি:: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রায়পুরের সাবেক এমপি হারুনুর রশিদ। বুধবার ( ২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এটি নিশ্চিত করেন সম্পাদক হারুনুর রশিদ নিজেই।
ক্রীড়াঙ্গনে ‘হারুন ভাই’ হিসেবে একনামে পরিচিত হারুনুর রশিদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে খেলাধুলার মাধ্যমে জনগণের কাছে যাওয়ার, দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে সুন্দর ও স্বচ্ছ করে আরও উন্নয়নের দিকে ধাবিত করার কথা বলেছেন। আমি আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা দিয়ে এই দায়িত্ব পালন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।’
বিগত কমিটিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সাবেক তারকা ফুটবলার দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল।এ পদে সাবেক জাতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক ও মানিকগঞ্জ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য নাইমুর রহমান দূর্জয়, সাবেক জাতীয় ফুটবল অধিনায়ক ও বর্তমান যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় ও সাবেক জাতীয় তারকা ফুটবলার বাদল রায়ের নাম শোনা যাচ্ছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে মনোনীত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে হারুনুর রশিদই এই দায়িত্ব পেলেন।
এ নিয়ে আওয়ামী লীগের ৮১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটির ৭৫টি পদ পূরণ হলো। বর্তমানে সভাপতিমণ্ডলীর তিনটি ও সম্পাদকমণ্ডলীর তিনটি পদ বাকি আছে।
হারুনুর রশিদের পরিচিতি::
ফুটবল সংগঠক হারুনুর রশীদ বাংলাদেশের অন্যতম ক্রীড়া সংগঠক, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এবং আবাহনী লিমিটেডের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন দীঘ সময়। রাজনৈতিক অঙ্গনে ও তার রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি। ১৯৯৬ সালে লক্ষ্মীপুর-২ রায়পুর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জনাব হারুনুর রশীদ ৭ মে ১৯৪৭ সালে রায়পুরে জন্ম গ্রহন করেন। তার বাবা মৌলভী মুজিবুল হক ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন ব্যবসায়ী,রপ্তানি বহুমুখী প্যাকেজিং,পোষাক শিল্প, ও শেয়ার ব্রোকারিং তার অন্যতম ব্যবসা। ১৯৬৩ সালে তিনি রায়পুর মার্চেন্ট একাডেমি থেকে এসএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ মাস্টার ডিগ্রী গ্রহন করেন। পারিবারিক জীবনে তিনি দুই কন্যার জনক। স্ত্রী জেবুন্নেসা হারুন। হারনুর রশীদ বর্তমানে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েসনের সহ- সভাপতি এবং এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের নির্বাহি কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ধানমন্ডি ক্লাবের তিন বারের নির্বাচিত সভাপতি তিনি।
0Share