নিজস্ব প্রতিনিধি : রায়পুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামীলীগের ইসমাইল হোসেন খোকন, বিএনপির এবিএম জিলানী ও সতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম লিটন। আওয়ামী লীগের চার প্রার্থী মনোনয়ন কিনেছিলেন । বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাচন অফিসে দলীয় প্রার্থী ইসমাইল হোসেন খোকনই জমা দিয়েছেন মনোনয়নপত্র।

দলীয় ও নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন খোকন। এ ছাড়া একই দলের সাবেক মেয়র রফিকুল হায়দার বাবুল পাঠান, হারুনুর রশিদ ও সফিক পাঠানও মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন।

মেয়র পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করা আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল হায়দার বাবুল পাঠান বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের অনুরোধ এবং নেত্রীর প্রতি সম্মান রেখে আমরা সবাই এক সঙ্গে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছি।’

পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক জামশেদ কবির বাক্কি বিল্লাহ বলেন, ‘দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় সকল নেতাকর্মীকে এক সঙ্গে করে ইসমাইল হোসেন খোকনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগে কোনো কোন্দল ও বিদ্রোহী প্রার্থী নেই।’

রায়পুর উপজেলা নির্বাচন ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. নাছির উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, বিকাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ইসমাইল হোসেন খোকন, বিএনপির এবিএম জিলানী ও সতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম লিটন মেয়র পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্রে করে রায়পুরে বিএনপির মেয়র ও ৭ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের পরিচতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের বাস টার্মিনাল এলাকার একটি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে পৌর বিএনপির উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান হয়।

বুধবার দুপুরে দলীয় সূত্রে জানাযায়, বিএনপির মনোনীত মেয়ার প্রার্থী এবিএম জিলানী, ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মাইনুদ্দিন ভূঁইয়া, ২নং ওয়ার্ডের আব্দুর জায়ের, ৩নং ওয়ার্ডে সুলতান আহাম্মদ, ৪নং ওয়ার্ডে কিরন মিয়াজী, ৫নং ওয়ার্ডে আবু জাফর, ৬নং ওয়ার্ডে মোঃ শাহাজাহান, ৭নং ওয়ার্ডে আবুল খায়ের, ৮নং ওয়ার্ডে দেলোয়ার হোসেন, ৯নং ওয়ার্ডে ভিপি বেলায়েত হোসেন।

অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড.মনিরুল ইসলাম হাওলাদারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিএনপি নেতা নাজমুল ইসলাম মিঠু, জেলা যুবদল নেতা রেজাউল করিম লিটন, সাইফুল ইসলাম শাহীন, রশিদ হাসান লিংকন, ইমরান হোসেন, নূরে হেলাল মামুন সহ ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ।