রায়পুর প্রতিনিধি: রায়পুরে ইলিয়াস হাওলাদার নামে এক সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর ও পোস্টারে অগ্নিসংযোগের ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় বাধা দিলে ওই প্রার্থীর ভাই জুয়েল হাছান ও কার্যালয়ের কেয়ার টেকার মোঃ শরীফকে বেদম মারধর করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চরআবাবিল ইউনিয়নের হায়দরগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগমের বড় ছেলে। এ ঘটনায় বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন র্যাব ও পুলিশ।
ক্ষতিগ্রস্ত চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাই আহত জুয়েল হাসান জানান, সকালে আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী শহীদ উল্যা বিএসসির কর্মী সমর্থকরা হায়দরগঞ্জ বাজারও আশপাশ এলাকায় মোটরসাইকেল মহড়া দেয়। দুপুরে মুখোশপরা ১৫-২০ জনের স্বশস্ত্র লোকজন নির্বাচনী কার্যলয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে সকল পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পত্র বটতলা নামক স্থানে নিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এঘটনা পুলিশসহ প্রশাসনকে অবহিত করলে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ঘটনায় উভয় প্রার্থীর সমর্তকদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে বাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বর্তমানে বাজারে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ ইলিয়াস হাওলাদার বলেন, অপর প্রার্থী শহীদ উল্যার লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাংচুর, পোস্টারে অগ্নিসংযোগ করেছে। বাধা দিতে গিয়ে আমার ভাইসহ দুজনক আহত আহত হয়েছে। গনতান্ত্রিক দেশে গনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন হোক এটাই আমার প্রত্যাশা।
অভিযুক্ত আ’লীগ সমর্থীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শহীদ উল্যা বিএসসি বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে কে বা কারা করেছে আমি জানি না। আমি বা আমার লোকজন এঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নয় বলে দাবি করেন। রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, ঘটনা জানতে পেরে হায়দরগঞ্জ বাজারে গিয়ে উভয় প্রার্থীসহ তাদের লোকদের শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। এঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0Share