রায়পুর প্রতিনিধি:: রায়পুরে আদালতের একটি রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে জমি ও পাঁচতলা দখল, পাল্টা-দখল, হামলা, মামলা, পাল্টা-মামলা এবং ঘটনাস্থল থেকে বহিরাগতদের আটকের ঘটনায় তোলপাড় চলছে। আলোচিত এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় একাধিক ভুল তথ্য দিয়ে দখল কার্যক্রম স্থগিত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
পৌরসভার নতুন বাজারের পরিবহন ব্যবসায়ী ইব্রাহিম মাহবুব জাকির আদালতে এ ভুল তথ্য উপস্থাপন করেন। বুধবার সাংবাদিকদের কাছে মধুপুর এলাকার ফার্ণিচার ব্যাবসায়ী লিয়াকত আলী ভূঁইয়া এ অভিযোগ করেন।
স্থানীয় সূত্র ও সংশ্লিষ্টরা জানায়, লক্ষ্মীপুরের জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালতের এক রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে লিয়াকত আলীকে নতুন বাজার এলাকায় সাড়ে ১৯ শতাংশ জমি ও তার উপরে নির্মিত পাঁচতলা ভবন দখল গত ১০ অক্টোবর বুঝিয়ে দেন আদালত। এ সময় জেলা ও দায়রা জজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, আদালতের জারিকারক এবং থানা পুলিশ লাল পতাকা উড়িয়ে এ দখল বুঝিয়ে দেন। ওই জমিতে পরিবহন ব্যবসায়ী ইব্রাহিম মাহবুব জাকিরের করা পাঁচতলা ভবনে ১৬ পরিবার বসবাস করে আসছে। একপর্যায়ে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে তাঁর (লিয়াকত) পাহারাদারদের হটিয়ে জমিটি দখলের চেষ্টা চালান ইব্রাহিম মাহবুব ও তার অনুসারীরা।
পরে ইব্রাহিম মাহবুব গত ২৩ অক্টোবর জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালতে একাধিক ভুল তথ্য দিয়ে রায় ঘোষণা স্থগিত করার জন্য আবেদন করেন। এতে আদালত ওই মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দেন। ওই দিন দুপুরেই জমিটি দখল করতে গেলে পুলিশ ইব্রাহিম মাহবুবের ছয় অনুসারীকে আটক করে। বিরোধপূর্ণ জমিটি ২২ নম্বর পূর্বলাচ মৌজায় হলেও আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন ১৬ নম্বর দেনায়েতপুর মৌজার ওপর। এ ছাড়া আদালত লিয়াকতকে আইনি প্রক্রিয়ায় জমিটির দখল বুঝিয়ে দিলেও ইব্রাহিম মাহবুব তার আবেদনে উল্লেখ করেছেন, আদালতের কোনো লোক সরেজমিনে গিয়ে জমিটি বুঝিয়ে দেননি।
লিয়াকত আলী ভূঁইয়া বলেন, “মামলার চূড়ান্ত রায় পাওয়ার পর আদালত আমাকে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে জমিটির দখল বুঝিয়ে দিয়েছেন। পরে মতলববাজ ইব্রাহিম মাহবুব আদালতে বিভিন্ন ভুল উপস্থাপন করে মামলার দখল কার্যক্রম স্থগিত করায়। বিষয়টি আমি আইনি প্রক্রিয়ায় মোকাবেলা করব।”
জানতে চাইলে ইব্রাহিম মাহবুব জাকির বলেন, “দীর্ঘদিন থেকে আমি ওই জমির ওপর বিল্ডিং নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে মতলববাজ লিয়াকত আলী ও তার লোকজন।
0Share