রায়পুর প্রতিনিধি: রায়পুরে ৬ষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আজাদ হোসেন চৌধূরী (৪০) নামের এক নেতা কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষক আজাদ কথিত মানবাধিকার নেতা। সে রায়পুর শহরের পূর্বলাছ (পানবাজার) এলাকার মৃত মোবারক আলীর পুত্র।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পৌর শহরের নতুনবাজার এলাকা থেকে আজাদকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় রাতেই স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ধর্ষক ও সহযোগীতাকারীসহ ২ জনের নামে রায়পুর থানায় মামলা করেছেন।
পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, শহরের একটি বিদ্যালয়ে পড়ুয়া ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ওই ছাত্রীর (১৩) পরিবার নতুনবাজারের পানবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল। তার পিতা পেশায় একজন রিক্সাচালক। কিশোরীর মা-বাবা বাসায় না থাকার সুযোগে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ওই কিশোরীর চাচাতো বোন শারমিনের মাধ্যমে আজাদ চৌধুরী তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে যায়।
সেখানে আটকে রেখে রাতভর কিশোরীর উপর পাশবিক নির্যাতন (ধর্ষণ) চালায়। ভোররাতে কৌশলে ছাড়া পেয়ে কিশোরী তার বড় বোনসহ পরিবারের লোকজনকে ঘটনাটি জানায়। কিশোরীর পিতা-মাতা ঘটনাটির প্রতিবাদ করলে তাদেরকে মারধর করে রিক্সা আটক করে রেখে দেয়। পরবর্তীতে ৩ হাজার টাকা দিয়ে ওই রিক্সা ছাড়িয়ে নিতে বাধ্য হন কিশোরীর দরিদ্র পিতা। এ ঘটনার পর আতঙ্কগ্রস্ত পরিবারটি হুমকির মুখে বাসা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যায়।
পানবাজার এলাকার কয়েকজন বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন থেকেই আজাদ চৌধুরী নিজেকে কখনো শ্রমিকলীগ নেতা, কখনো মানবাধিকার নেতা আবার কখনো স্থানীয় প্রভাবশালী সাজিয়ে নারীদের হয়রানি ও নির্যাতন, শালিস বাণিজ্য, মাদক আড্ডাসহ নানান অপকর্ম করে বেড়াচ্ছিল। কিন্তু তার ক্যাডার বাহিনীর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেতোনা। দরিদ্র রিক্সা চালকের কিশোরী কন্যা ধর্ষণের ঘটনায় আজাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে ধর্ষক আজাদ ও সহযোগিতাকারী শারমিন আক্তার নামের দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
0Share