মহিউদ্দিন মুরাদ: সোলেমা, আয়শা, জোসনা, রত্মা, রেহানা, পারভীন, ঝর্ণা ও সালমা ওরা ৮ জন। এঁরা পেয়েছে বেঁচে থাকার সন্ধান। এদের মধ্যে কেউ বিধবা, কেউ বা স্বামী পরিত্যক্তা। কারোর একাধিকবার বিয়ে হলেও স্বামী স্ত্রী সন্তান ছেড়ে চলে গেছে অন্যত্র। লোক লজ্জায় কথা বলতেও সাহস পাচ্ছেনা তাঁরা। এদের সবার বয়স ২৫ থেকে ৩৫ এর কোটায়। তবে তাঁদের বাস উপকূলীয় এলাকার মেঘনার বিভিন্ন বেঁড়িবাধের পার্শে, অস্থায়ী ঢেরায়। তাঁরা কাজ করছে জেলার রামগতির উপজেলার একটি বিদেশী সংস্থা নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পে। একজন ঠিকাদারের অধীনে। সারাদিন ৮ ঘন্টা পরিশ্রম করে পুরুষরা যেখানে পায় পাঁচ’শ টাকা। অথচ একই সমান ৮ঘন্টা কাজ করে এ সব নারীরা পাচ্ছে, আড়াই’শ থেকে তিন’শ টাকা হিসেবে। জোরালো প্রতিবাদ নেই তাদের কাছ থেকে। অভাবী সংসার। তাই প্রতিবাদ করছেনা কাজ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকায়। তারপরও তাঁরা খুশি। দু’বেলা ভাতের জোগানসহ সংসারের আয়ের পথ সুগম হয়েছে তাদের। শুধু নির্মাণ প্রতিষ্ঠান নয়। কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিনোদনসহ সর্ব ক্ষেত্রে নারীরা তাদের শ্রম বিনিয়োগ করেছে।
সরকারীভাবে শ্রম ঘন্টা নির্ধারিত থাকলেও বেসরকারীভাবে সেটি গন্য করা হচ্ছনা অনেক ক্ষেত্রে। বিশেষ করে অতিরিক্ত শ্রমের মর্যাদাও মূল্যায়ন হচ্ছেনা নারীদের ক্ষেত্রে। জানালেন ওই সব নারীরা। মুখ খুলতেও ভয়। আবার কাজে যদি না নেয়া হয়। মে দিবস উপলক্ষে নারীদের ক্ষেত্রে সে বৈসম্যের নিরসন হবে। নারীরা পাবে তাদের ন্যায্য মজুরী, শ্রমের মর্যাদা এবং ন্যায় প্রাপ্য অধিকার, এ প্রত্যাশা অবহেলিত নারী সমাজের।
0Share