কৃষি ব্যাংক লক্ষ্মীপুর শাখার সাবেক দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঋণ গ্রহীতাদের কাছ থেকে আদায় করা টাকায় নিজেদের পকেট ভারি করার ঘটনা তদন্ত করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা। বাংলাদেশ ব্যাংকের জয়েন্ট ডিরেক্টর মো. নুরুল আমিন ও ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর পিন্টু কুমার দে ফরেন এক্সচেঞ্জ লক্ষ্মীপুর শাখায় তদন্তে এসেছেন। এ সময় তারা শাখা ব্যবস্থাপকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) কয়েকটি রশিদের পর্যালোচনা করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাকা আত্মসাতের ঘটনায় কুমিল্লা বিভাগীয় নিরীক্ষা কার্যালয় থেকে গঠন করা তিন সদস্যের আরেক তদন্ত দলের প্রধান দিলীপ কৃষ্ণ মন্ডল। তিনি বর্তমানে কৃষি ব্যাংকের চট্টগ্রামের পটিয়ার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, ব্যাংকটির লক্ষ্মীপুর শাখার সাবেক মাঠ কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস আলম ও ছাদেক উল্যা কবির। তারা এ শাখায় দায়িত্ব পালনকালে ঋণ গ্রহীতাদের কাছ থেকে আদায় করা টাকা নিজেদের পকেট পুরেছেন বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) রশিদের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ টাকা নিলেও তা যথাযথভাবে ব্যাংকে জমা দেয়া হয়নি। এর প্রমাণ পেয়েছেন ব্যাংকটির ঊর্ধ্বতন মুখ্য কর্মকর্তা মোৎ. শাহজাহান সরকারও। এ নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ হলে ব্যাংকপাড়ায় তোলপাড় শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্তে নেমেছে বলে দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কুমিল্লা বিভাগীয় নিরীক্ষা কার্যালয় থেকে গঠন করা তদন্ত দলের প্রধান দিলীপ কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, আমাদের তদন্ত কার্যক্রম এখনো চলছে। তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের দুজন কর্মকর্তা সোমবার ব্যাংকের লক্ষ্মীপুর শাখায় এসে তদন্ত করে গেছেন।