ধর্ষণের অভিযোগে পাষন্ড বাবা সিরাজুল ইসলাম রতন (৫০) এর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। শুক্রবার বিকালে স্থানীয় হানিফ মিয়াজীর হাট এলাকায় এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন স্থানীয়রা। এর আগে সকালে (১ অক্টোবর) ভিকটিম কিশোরীর মামা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চন্দ্রগঞ্জ থানায় সিরাজুল ইসলাম রতনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তবে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম রতন, ভিকটিম ও ঘটনার বর্ণনাকারীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ চন্দ্রগঞ্জ থানায় নিয়ে আসেন বলে ওসি জানান।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের রাজারামঘোষ গ্রামে এঘটনা ঘটে। গ্রেফতার সিরাজুল ইসলাম রতন উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি।
এদিকে ভিকটিম ওই কিশোরী মেয়েকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শনিবার সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন, মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মোঃ বেলায়েত হোসেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, সিরাজুল ইসলাম রতনের প্রথম স্ত্রী জোলেখা বেগম (৪০) নিজের মেয়েকে ধর্ষণসহ স্বামীর বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করেন। এতে রতন তার স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। পরে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে তার স্ত্রী জোলেখা বেগম বিষপান করে আতœহত্যা করেন। এরপর ফাতেমা বেগম নামের এক নারীকে দ্বিতীয় করে রতন। কিন্তু দ্বিতীয় বিয়ে করার পরও নিজের কিশোরী কন্যার প্রতি তার লোলুপ দৃষ্টি আরো বেড়ে যায় এবং একাধিকবার মেয়েকে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন পাষন্ড এই পিতা। বিষয়টি দ্বিতীয় স্ত্রী জানার পর শুরুতে তিনিও প্রতিবাদ করেন।
স্থানীয় কয়েকজন প্রতিবেশী জানান, পাষন্ড বাবার লোলুপ দৃষ্টি থেকে বাঁচতে ভিকটিম তাঁর বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার কাছে ঘটনাটি খুলে বলে। পরে ওই শিক্ষিকা ভিকটিমের মা কে বিষয়টি অবহিত করলে রতন ওই শিক্ষিকার উপর চড়া হয়। নানা হুমকি ধমকি দিতে থাকে তাঁকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এপ্রতিবেদকের দ্বারস্থ হন ওই শিক্ষিকা। অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে রতনের আরো অপকর্মের কাহিনী। মুখ খুলতে থাকেন নানাভাবে নির্যাতনের শিকার এলাকাবাসী।
আটকের আগে সিরাজুল ইসলাম রতন বলেন, গত কয়েকদিন ধরে তিনি বিষয়টি শুনেছেন।
মানবন্ধনে সিরাজুল ইসলাম রতনের ফাঁসির দাবি করেন স্থানীয় এলাকাবাসী। ঘটনার বর্ণনাকারী ও ভিকটিমের নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি করেন বক্তারা।
চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একে ফজলুল হক জানান, ভিকটিম কিশোরীকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত রতন বিরুদ্ধে মামলা দায়েরর পর তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
0Share