নিজস্ব প্রতিনিধি: পবিত্র শবে বরাতে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন গ্রাম ও পাড়া মহল্লায় অনেক গরু জবাই হয়েছে। এদিন ভালো রান্না বান্না করা এ অঞ্চলের   দীর্ঘ দিনের একটি সামাজিক রীতি। বাজারে গরুর দাম বেশি থাকায় গ্রামবাসিরা মিলে মিশে গরু কিনে জবাই করে পরে মাংস ভাগ করে নেয় এদিন। এভাবে যেমনি তাজা মাংস পাওয়া যায় তেমনি দামও হয় অনেক আবার সবার মাঝে একটা বন্ধুত্বভাব ও তৈরি হয়; এমনটাই জানালেন কয়েকজন এলাকাবাসি।

পবিত্রশবে বরাত ও আসন্ন রমজান এবং বৃষ্টির কারণে লক্ষ্মীপুরে মাছ, গোশতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি শুরু হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন হাট বাজারে লোকজনের ভিড় লক্ষ করা যায়। এ ভীড়ছিল মূলত গরু ও মুরগীর মাংসের দোকানে। বাজারে কেনাকাটার পাশাপাশি জেলার প্রায় প্রতিটি পাড়ায় গতকাল এক বা একাধিক গরু জবাই করা হয়।জবাইকৃত সে মাংসগুলো ভাগ হিসাবে বিক্রি হয়।এভাবে জবাইকৃত গরুর আড়াই কেজি গোশতের ভাগ আটশ থেকে হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়। প্রতি বছর গোটা রমজান মাসে লক্ষ্মীপুরের স্থানে স্থানে এভাবে গরু জবাই হয়ে থাকে।

 

 

 

 

 

 

 

 

রায়পুর এলাকার গোশত বিক্রেতা শাহাব উদ্দি মিয়া জানান, তিনি গতকাল তিনটি গরু জবাই করেছেন। বেলা ১টার আগে সব গোশত বিক্রি হয়ে যায়। তিনি বলেন, গরুর দাম বেশি হওয়ায় লাভ তেমন হয়নি।

সদর উপজেলার দিঘলী, মান্দারী, কুশাখালী, পুকুরদিয়া, ফরাশগঞ্জ, কমলনগরের মার্টিন, লরেঞ্চসহ জেলার প্রায় সব উপজেলার  প্রায় প্রতিটি পাড়ায় সকালে এভাবে গরু জবাই করে গোশত বিক্রি করতে দেখা গেছে। গরুর গোশতের এমন বিকিকিনি সত্ত্বেও বাজারে দাম কমেনি। গতকাল প্রতি কেজি মুরগি ১৪০-১৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন,শবে বরাতে মাংসের চাহিদা বেড়েছে। তাই মাংসের দাম বেড়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় গরুর মাংসের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়। যেসব দোকানে একটি গরু জবাই হতো, এদিন  সেখানে তিন থেকে চারটি গরু জবাই হয়েছে। তবে এলাকা ভেদে মাংসের দামের পার্থক্য ছিল।৪৮০ থেকে ৫৫০ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।

এলাকাবাসিদের অভিযোগ পরিকল্পনা করে শবে বরাতে মাংসের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তাই পাড়া মহল্লার অনেকে এবার পরিকল্পনা করেছে ব্যবসাীয়দের এ সিন্ডিকেট ভাঙ্গার জন্য রমজানেও পাড়ায় পাড়ায় গরু জবাই অব্যাহত রাখবেন