নিজস্ব প্রতিনিধি: কয়েকদিন ধরে সারাদেশে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ব্যাহত হচ্ছে সবজি সরবরাহ। যার প্রভাব পড়েছে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন উপজেলার কাঁচা বাজারে। গত সপ্তাহ থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার হাটবাজারগুলোতে শাকসবজি, তরিতরকারির দাম আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে পুরো বাজার বেসামাল হয়ে গেছে । হাটবাজারে শাক-সবজির আকাল দেখা দেওয়ার কারণে ক্রেতাসাধারণকে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত দাম, পোহাতে হচ্ছে সবজি সংকটের দুর্ভোগ। বিক্রেতারা বলছে, সরবরাহ না থাকার কারণে সবজির বাজারে আকাল দেখা দিয়েছে। কয়েকটি দোকানে কিছু পরিমাণ সবজি থাকলেও দাম চাওয়া হচ্ছে আকাশচুম্বী। জেলার কয়েকটি বাজারের খবর নিলে জানা যায় এসব চিত্র।

ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা ও টানা বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়েছে। বৃষ্টির কারণে শাকসহ পচনশীল সবজির সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণে গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম বেড়েছে। বৃষ্টির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে প্রতিটি সবজির দাম আরো বেড়ে যাবে। যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে কাঁচামরিচে।

তোরাবগঞ্জ বাজারের সবজি বিক্রেতা নুরের জামান জানান, গত দু সপ্তাহ ধরে সবজি সংকট চলছে। কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ সবজি কেজিপ্রতি কমপক্ষে ৩০ টাকার বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রবিবার কমলনগরের তোরাবগঞ্জ এলাকার আরিফুল ইসলাম বাজারে এসেই দেখেন সব সবজির দাম বেশি। তিনি  বলেন, প্রতিটি সবজির দাম বেড়ে গেছে। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে দোকানদাররা বৃষ্টি কথা বলছেন।জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ঢেঁড়স, ঝিঙা, জালি কুমড়া, করলা, বরবটি, ধুন্দুল, পটল বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩০ থেকে ৫০ টাকা। বেগুন প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, লেবু হালি ৩৫ টাকা, মিষ্টিকুমড়া (ছোট) ৩০-৪০ টাকা, আলু (পুরান) প্রতি কেজি ১০-২৫ টাকায়। এছাড়াপুঁই শাক, কলমি শাক এবং পাটের শাকের দাম বেড়েছে।