নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে আলাউদ্দিন (১৩) নামে এক বেকারি শিশু শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রাখার ঘটনায় মামলা হয়েছে। সোমবার দুপুরে নিহতের বাবা আবুল কালাম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। এতে বেকারি শ্রমিক সর্দার ইব্রাহীম প্রকাশ শাহজাহানকে প্রধান করে তিন জনকে আসামি করা হয়েছে। নিহত আলাউদ্দিন সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের বিসমিল্লাহ রোডের আনন্দময় পেস্টি সপ বিসমিল্লাহ বেকারিতে কাজ করত। সে দত্তপাড়া ইউনিয়নের উত্তর মাগুরী গ্রামের দিনমজুর আবুল কালামের ছেলে। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই বেকারির মালিক নাছির উদ্দিন রনি ও আল আমিনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা, বিস্মিল্লাহ রোড সংলগ্ন স্থানীয় প্রবাসী মালেক হুজুরের মালিকানাধীন একতলা ভবনে ৭/৮ মাস আগে আনন্দময় ফেষ্টিসপ নামক একটি বেকারী চালু করেন, নাছির উদ্দিন রনি ও মোঃ আল আমিন নামে দুই বন্ধু। ওই বেকারীতে নিহত কিশোর আলাউদ্দিনসহ ৪ জন শ্রমিক কাজ করত। এদের মধ্যে মোঃ ইব্রাহীম প্রকাশ শাহজাহান (৩২), শামীম (২২) ও মিজান (২০) তাদের তিনজনের বাড়িই ভোলার জেলার চর ফ্যাশনে। ঘটনার পর কিশোর আলাউদ্দিনের লাশ বিল্ডিংয়ের দোতলা সিঁড়ির একটি রডের সাথে ঝুলিয়ে রেখে ওই ভবনের গেইটে তালা দিয়ে তারা তিনজনই পালিয়ে যায়।
বেকারীর মালিক নাছির উদ্দিন রনি ও আল আমিন জানায়, ঘটনার পর রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই বেকারীর শ্রমিকদের সর্দার মোঃ ইব্রাহীম প্রকাশ শাহজাহান মোবাইলে তাদেরকে জানায় বেকারীতে শ্রমিক আলাউদ্দিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ কথা বলেই সে তার মোবাইল বন্ধ করে দেয়। এরপর তারা চন্দ্রগঞ্জ থানায় এসে খবর দিলে সেকেন্ড অফিসার কাওছার উদ্দিন চৌধুরী, এস আই সাইফুজ্জামানসহ সঙ্গীয় ফোর্স রাত সাড়ে ১১টায় ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেন। এ সময় লক্ষ্মীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোঃ নাসিম মিয়াও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোঃ নাসিম মিয়া জানান, প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকান্ড হিসেবেই ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0Share